সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রপ্তানির আগে সরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। তবেই ভারতীয় কফ সিরাপ বিদেশে রপ্তানি করার অনুমতি মিলবে। সোমবার সাফ নির্দেশিকা জারি করল সরকার। আগামী মাস থেকেই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরেই ভারতীয় সংস্থার তৈরি কফ সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় (Gambia) ৬৬জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তার জেরেই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।
ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের (DGFT) তরফে সোমবার বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “কফ সিরাপ রপ্তানির আগে সরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। এই নমুনা পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই বিদেশে রপ্তানির অনুমতি মিলবে। আগামী ১জুন থেকেই এই নিয়ম মানতে হবে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে।” এই নির্দেশের সঙ্গেই সরকারি ল্যাবরেটরির তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জামাইদের জন্য সুখবর, জামাইষষ্ঠীতে অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা নবান্নের]
জানা গিয়েছে, কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, হাদরাবাদ-সহ একাধিক শহরে কফ সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে। নানা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ল্যাবরেটরিগুলি থেকেও মিলতে পারে কফ সিরাপ রপ্তানির অনুমতি। প্রসঙ্গত, গত একবছরে ১৭০০ কোটি ডলারের কফ সিরাপ রপ্তানি করেছে ভারত। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে গাম্বিয়ার ঘটনাটি।
জানা যায়, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল নামে একটি সংস্থার তৈরি কফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৬জন শিশুর। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিম আফ্রিকার নানা দেশে বিষাক্ত ওষুধ রপ্তানি করেছে তারা। বিশেষ কয়েকটি কফ সিরাপ খাওয়ার ফলে শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু বিষাক্ত কেমিক্যাল রয়েছে ওই চার কফ সিরাপের মধ্যে। এই ওষুধ খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তারপরেই কিডনি বিকল হয়ে নিশ্চিত মৃত্যু। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়।