সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় বিশ্বে ন্যূনতম সুরক্ষা ছাড়াই বিপজ্জনকভাবে দড়িতে ঝুলে বহুতল রং করেন রঙের মিস্ত্রি। দুর্ঘটনা ঘটে, মৃত্যু হয়। একইভাবে ম্যানহোল ও সেফটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু হয় নিকাশিকর্মীদের। যদিও তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে খাতায়কলমে সরকার ও আদালতের হাজারও নির্দেশিকা রয়েছে। শুক্রবার নিকাশিকর্মীদের স্বার্থে আরও এক নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতিদের নির্দেশ, নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে কোনও সাফাইকর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের হাজার পর্যবেক্ষণ সত্বেও নর্দমা, নিকাশি নালা কিংবা ম্যানহোল সাফ করতে গিয়ে একের পর এক মৃত্যু ঘটেছে দেশে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই সম্প্রতি সাফাইকর্মীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলা ওঠে বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মানুষের দ্বারা নালা, ম্যানহোলে পরিষ্কারের কাজ সম্পূর্ণ নির্মূল করা হয়েছে, এই বার্তা দিতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে।
[আরও পড়ুন: ‘নতুন ভারতের শিল্পকার’, দেশের প্রথম রিজিওনাল র্যাপিড ট্রেনের সূচনা, মোদিকে কুর্নিশ যোগীর]
এইসঙ্গে বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, সাফাইকর্মীর মৃত্যু হলে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে। এছাড়াও নালা, ম্যানহোলে কাজ করতে গিয়ে যদি কোনও শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে আমৃত্যু ভুগতে হয়, তবে তাঁকে বা তাঁর পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। যদি কোনও কর্মী ছোট শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হবে ১০ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের চাপ, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে ঢোক গেলা শুরু গিরিরাজের!]
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে সংসদে জমা দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বিপজ্জনক কাজ করতে গিয়ে ৩৪৭ জন সাফাইকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং দিল্লিতেই ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতি বদলাতেই মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।