নব্যেন্দু হাজরা: স্বাধীনতা দিবসে বন্দি মুক্তি নিয়েও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ১৫ আগস্ট বন্দিমুক্তির জন্য রাজ্য সরকারের পাঠানো তালিকা ফেরত পাঠাল রাজভবন। রাজ্যের পাঠানো তালিকা পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নয়, দাবি রাজ্যপালের। কী দেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে, জানতে চেয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস।
প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবস এবং সাধারণতন্ত্র দিবসে কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া দস্তুর। নিয়ম অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আচার-আচরণ দেখে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বন্দিদের বয়স, শারীরিক অসুস্থতা, সবটাই নজর রাখা হয়। কারা দপ্তরের বন্দি মুক্তি কমিটি এবং যে-আদালত সংশ্লিষ্ট বন্দিকে সাজা দিয়েছে, সেখান থেকে অনুমতি মিললে তবেই তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়। চারটি দপ্তর মিলে সব খতিয়ে দেখে এই তালিকা তৈরি করে এবং রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: হিংসাদীর্ণ হরিয়ানায় বুলডোজার বিভীষিকা, মাটিতে মিশল ২৫০ ঝুপড়ি]
কিন্তু সেই তালিকা পছন্দ হয়নি রাজ্যপালের। কীসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হয়েছে তা জানতে চেয়ে ফাইল ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি। রাজভবন সূত্রের খবর, তালিকা ত্রুটিযুক্ত বলে তাঁর মনে হয়েছে। কী দেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। যা এককথায় বেনজির। হাতে আর মাত্র দিন দশেক সময়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল তালিকা ফেরত পাঠানোয় খানিকটা ফাঁপরে পড়ে গিয়েছেন কারা দপ্তরের কর্তারা।
[আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তি, কাশ্মীরে ‘অশান্তির আশঙ্কা’য় গৃহবন্দি মেহবুবা]
আসলে সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্য সরকারের যে কোনও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা বা নবান্নের পাঠানো ফাইল আটকে দেওয়াটা দস্তুর করে ফেলেছেন রাজ্যপাল। যার প্রতিবাদ করতে শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীনও এমন হত না, উষ্মার সুরে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও সংঘাত বজায় রাখছেন রাজ্যপাল।