সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি সক্রিয়তার অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর আক্রমণের জবাব দিতেই এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল। মৌচাকে হাত দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি জগদীপ ধনকড়ের।
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের দ্বৈরথ লেগেই রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কখন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আবার কখন তা খারাপ হয়ে গিয়েছে, তা যেন বোঝাই যায় না। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজ্যপালের আচমকা জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মনোমালিন্যের সূত্রপাত। সেই বৈঠকে যদিও কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকের দেখা পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দ্বৈরথের সূত্রপাত। এরপর উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনিক বৈঠকেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। তাতেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুপস্থিতির জেরে ভেস্তে যায় রাজ্যপালের বৈঠক। আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্তার হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান রাজ্যপাল। দু’পক্ষের সংঘাতে সংযোজন হয়েছে রাজ্যপালের সিঙ্গুর সফরও। সোমবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সেরে সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে যান তিনি। যথারীতি কোনও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দেখাও হয়নি তাঁর। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাজ্যপাল কেন সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য প্রশাসন। যদিও রাজভবন সূত্রে খবর, আগে থেকে জানিয়ে তবেই সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
এমনই একাধিক ঘটনায় যেন নবান্ন-রাজভবন সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া করেছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কখনও পরোক্ষে আবার কখনও বা নাম করে অভিযোগের সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে দিনকয়েক আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাটার্য। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে চন্দ্রিমার বিরুদ্ধে পালটা সুর চড়ালেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “মৌচাকে ঢিল মারলে মৌমাছি আক্রমণ করবেই। বোলাররা বল করবেন, আমি আম্পায়ার। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজের দপ্তরে মন দিন। চন্দ্রিমার দপ্তরের কী অবস্থা সবাই জানেন।” চন্দ্রিমার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সুর চড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে বলার জন্য একজন মন্ত্রীকে নিয়োগ করুন যিনি আমার সমালোচনা করবেন। বাকিরা কাজে মন দিন।”
বৃহস্পতিবার ভোরে রবীন্দ্র সরোবরে হাঁটতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
সেখানে শরীরচর্চার ফাঁকে প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় যুবকদের ভিড়ে মিশে ফুটবলও খেলেন রাজ্যপাল। এরপর সস্ত্রীক লেক কালীবাড়িতে যান তিনি।
সেখানে পুজো দেওয়ার পর রাজভবনে উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল।
ছবি: পিণ্টু প্রধান
The post ‘মৌচাকে হাত দেবেন না’, চন্দ্রিমাকে কড়া হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের appeared first on Sangbad Pratidin.