সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসেই তৈরি হয়েছিল নয়া নজির। জিএসটি বাবদ রেকর্ড আয় হয়েছিল সরকারের। কিন্তু মে মাসের হিসেবে দেখা গেল, বেশ খানিকটা কমেছে জিএসটি (GST) বাবদ আয়। তবে এই নিয়ে টানা আট মাসই কিন্তু আয় থাকল ১ লক্ষ কোটির বেশি। তবুও আয়ের হ্রাসে উদ্বেগও তৈরি হল। সম্ভবত করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণেই এই হ্রাস।
মে মাসে জিএসটি বাবদ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা। শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ( (Finance Ministry) তরফে একথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগে জমা পড়েছে ১৭ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। রাজ্যগুলি থেকে জমা পড়েছে ২২ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। আমদানিকৃত পণ্যের উপর জিএসটি থেকে আয় ৫৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা।
[আরও পড়ুন: ভাল কাজের পুরস্কার, তৃণমূলের যুব সভাপতির পদে ‘বাজিগর’ সায়নী ঘোষ]
তবে গত মাসের তুলনায় অনেকটাই কমেছে আয়। এর কারণ হিসেবে মে মাসে বহু রাজ্যে ডাকা লকডাউনকেই (Lockdown) দায়ী মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত মার্চে জিএসটি বাবদ আয় ছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে পরের মাসে একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল আয়। আয়ের অঙ্ক ছিল ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে ১৪ শতাংশ বেড়েছিল আয়। যা জাগিয়েছিল আশা। কিন্তু মে মাসে তা ফের কমল।
তবে কমলেও গত আট মাস ধরেই জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয় ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরেই রয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলছে ভারত ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে। কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল, ভুয়ো বিলের উপরে নজরদারি থেকে সমস্ত নথির যথাযথ হিসেব মিলিয়ে নেওয়ার মতো নানা পদক্ষেপের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।
পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে জিএসটি দপ্তরের পাশাপাশি আয়কর দপ্তর ও শুল্ক দপ্তরের কড়া ভাবে নজরদারি চালানোর সুফলের কথাও বলা হয়েছে। তবে সেই আশার মধ্যেই এই মাসে হঠাৎই আয় কমাটাও চিন্তায় রাখছে অর্থনীতিবিদদের।