shono
Advertisement

চারটি ধাপে জিএসটি, রাজ্য-কেন্দ্র সর্বসম্মতি

বিলাসবহুল গাড়ি, সিগারেট, গুটখা, ঠান্ডা পানীয়র জন্য দিতে হবে ২৮ শতাংশ কর৷
Posted: 05:41 PM Nov 04, 2016Updated: 12:11 PM Nov 04, 2016

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রস্তাবিত পণ্য পরিষেবা কর (গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি) কাঠামোয় প্রস্তাব ছিল চারটি স্তরের৷ কাউন্সিলের বৈঠকে মঞ্জুরও হল তা-ই৷ তবে কয়েকটি ধাপে হল কিছু অদলবদল৷

Advertisement

চার স্তরীয় জিএসটি কাঠামো মঞ্জুর করল কাউন্সিল৷ এই চারটি স্তর হল পাঁচ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ৷ এর মধ্যে নিত্য ব্যবহার্য জরুরি পণ্যগুলিকে রাখা হয়েছে পাঁচ শতাংশ করের আওতায়৷ আর বিলাসবহুল সামগ্রীর জন্য ধার্য হয়েছে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ কর৷ সরকারের তরফে করা জিএসটি কর কাঠামোর প্রস্তাবেও অবশ্য এই চারটি ধাপ রাখা হয়েছিল ছয়, ১২, ১৮ ও ২৬ শতাংশ৷ অর্থাত্‍ সর্বনিম্ন ধাপটির জন্য প্রদেয় কর এক শতাংশ কমিয়ে সর্বোচ্চ করের মাত্রা দুই শতাংশ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মঞ্জুরি দেওয়া হল৷ যা মোট আদায়ের হিসাবে কিছুটা বেশিই রাজস্ব ঘরে তুলবে৷

নতুন কাঠামোয় সব থেকে কম কর দিতে হবে খাদ্যপণ্যের জন্য৷ আর বিলাসবহুল গাড়ি, তামাকজাত দ্রব্য যেমন সিগারেট, গুটখা , কার্বোনেটেড ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদির জন্য দিতে হবে ২৮ শতাংশ কর৷ এছাড়াও গুনতে হবে অতিরিক্ত সেস৷ কেরলের তরফ থেকে অবশ্য জিএসটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়৷ কিন্তু কাউন্সিল সম্মত হয়েছে ২৮ শতাংশেই৷

প্রস্তাবিত পণ্য পরিষেবা কর (গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি) চালু হলে রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতি হবে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল৷ যে কারণে এক সময় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল বেশ কয়েকটি রাজ্য৷ এ বিষয়ে আগেই জিএসটি পরিষদের বৈঠকে রাজ্যগুলিকে ‘ক্ষতিপূরণ’ দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে৷ যে সমস্ত রাজ্যের আয় এই নতুন কর ব্যবস্থায় কমে যাবে, তারা ক্ষতিপূরণ পাবে৷

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, “অতিরিক্ত সেস ও ক্লিন এনার্জি সেস বাবদ যে রাজস্ব আদায় হবে তার থেকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে৷ জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷” রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে মোট পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে বলেও জেটলি জানিয়েছেন৷ অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দেন, চারটি ধাপে জিএসটি নেওয়া হলেও তার গড় থাকছে ১৮ শতাংশের নিচেই৷ বিরোধী দলগুলি, বিশেষত কংগ্রেসের তরফ থেকে বারবার এই দাবি জানানো হয়৷ তাই সকলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েই এই কর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলে জেটলি জানিয়েছেন৷ কোন কোন দ্রব্য কর কাঠামোর কোন ধাপে পড়বে সে বিষয়ে জিএসটি কাউন্সিলের অধিকর্তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, বর্তমানে যে সমস্ত দ্রব্যের জন্য শুল্ক ও ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স নিয়ে ৩০ থেকে ৩১ শতাংশ কর দিতে হয়, নতুন কাঠামোয় তার জন্যই সর্বোচ্চ ধাপের কর দিতে হবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement