সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিএসটি-র জের। এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলা যেমন আরও বেশি খরচ সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনই বেড়ে যাচ্ছে এটিএম বা অটোমেটেড টেলর মেশিনের দামও। পণ্য ও পরিষেবা করের আওতায় রয়েছে মোট ছ’টি স্তর। যার মধ্যে এটিএম-এর দামের উপর বসানো হচ্ছে ২৮ শতাংশ কর।
[কেন আগেভাগে মুক্তি মুন্নাভাইয়ের, ব্যাখ্যা তলব আদালতের]
যতদিন যাচ্ছে, এটিএম-এর দামও তত বাড়ছে। এবার তার উপর ২৮ শতাংশ কর ধার্য হওয়ায় সমস্যায় পড়ছে ছোট ব্যাঙ্কগুলি। ফলে এটিএম বসানোর ক্ষেত্রে একাধিকবার ভাবতে হচ্ছে তাদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ডিজিটাল পেমেন্ট, পয়েন্ট-অফ-সেল ডিভাইসের ক্ষেত্রে যখন জিএসটি ১৮ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে, তখন এটিএম-কেও করকাঠামোয় একই স্তরে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু তেমনটা হচ্ছে না। ফলে যাঁদের ছোট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা অদূর ভবিষ্যতে এটিএম-এর অভাবে ভুগতে পারেন। গোটা দেশের এটিএমগুলি দেখাশোনার দায়িত্বে যে কোম্পানি রয়েছে, সেই এজিএস ট্রান্সঅ্যাক্ট টেকনোলজির এমডি রবি গোয়াল বলেন, “গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা জিএসটি কাউন্সিলের কাছে যাব। আমাদের আবেদন সেখানে তুলে ধরব। এটিএম মেশিন কেনার খরচ কমলে দেশ উপকৃতই হবে।” এদিকে, এটিএম থেকে টাকা তোলা, টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে খরচ বাড়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। আগে এটিএম-এ লেনদেনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ থেকে খরচ বেড়ে হয়েছে ১৮ শতাংশ। তাই সবমিলিয়ে আম আদমির উপরই কোপ পড়তে চলেছে।
[১২ জুলাই দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক পেট্রল পাম্প মালিকদের]
তবে জিএসটি চালু হওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র-সহ মোট ২২টি রাজ্যে তুলে দেওয়া হল চেক পোস্ট। ফলে পরিবহণের খরচ আরও কমতে চলেছে।