সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে দুর্গাপুজোর জন্য নিয়ম বিধি বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল।
প্রতিবছরই কৃষ্ণনগরে ঘটা করে জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘট বিসর্জন হয়। দিনভর গোটা শহরে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। কিন্তু বর্তমান কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার দিনভর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা করা যাবে না। দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টার মধ্যে শোভাযাত্রা শেষ করতে হবে। এদিকে, চন্দননগরে এবার অন্যান্য বছরের মতো করে ঘট বিসর্জন হবে না।
[আরও পড়ুন: ‘নির্বাচনী ফান্ডের জন্যই দাম বেড়েছে আলু-পিঁয়াজের’, শাসকদলকে তোপ দিলীপের]
প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্যান্ডেলে থাকতে হবে স্বেচ্ছাসেবকদের। মণ্ডপে গিয়ে অঞ্জলির দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ রাখাই শ্রেয়। চন্দননগরে মণ্ডপের ১০মিটার আগে থেকেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে যাতে দর্শকরা প্রবেশ করতে না পারেন। মণ্ডপে একসঙ্গে ২৫ জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না। তবে কেউ মানত করে পুজো দিতে চাইলে তাঁর জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে। এর পাশাপাশি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, এবার মণ্ডপে কোনও বাজনার ব্যবস্থা করা যাবে না। সর্বোচ্চ ১০জন ঢাকি থাকতে পারবেন। ঘটা করে ঘট বিসর্জন না হলেও কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার রীতি আগের মতোই বহাল থাকবে। তবে এক্ষেত্রে গাড়ির বন্দোবস্ত করতে পারলেই ভাল।
প্রতিমা নিরঞ্জনে পুজো কমিটির বাইরের কাউকে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। ঘাটে সর্বোচ্চ ১০জন থাকতে পারবেন। শোভাযাত্রা হবে একমুখী। দুপুর ২টোয় প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করে রাত ৯টার মধ্যে বিসর্জন করতে হবে। প্রতিটি পুজো কমিটিকে শোভাযাত্রার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবে থানা।