shono
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী আসবেন! সেতু দুর্ঘটনায় আহতদের ফেলে মেরামতিতে ব্যস্ত মোরবির সরকারি হাসপাতাল

প্রধানমন্ত্রীর ফোটোশুটে কোনও অসুবিধা হবে না, কটাক্ষ বিরোধীদের।
Posted: 10:26 AM Nov 01, 2022Updated: 12:41 PM Nov 01, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সেতু (Morbi Bridge Collapse) ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। জীবনে কোনওদিন এত যন্ত্রণা পাননি বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ঘটনার দু’ দিন পরে মঙ্গলবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাবেন তিনি। সরকারি হাসপাতালও পরিদর্শন করবেন মোদি। তার আগেই ‘সাজ সাজ’ রব পড়ে গেল গুজরাটের সেই সরকারি হাসপাতালে। রাত জেগে হাসপাতাল সাজিয়ে তুললেন কর্মচারীরা। নিখোঁজ আত্মীয়কে খুঁজতে আসা ব্যক্তিরাও  অপেক্ষা করছেন। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিরোধীরা।

Advertisement

কংগ্রেস ও আপের তরফে হাসপাতাল (Gujarat Hospital) মেরামত করার বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “মঙ্গলবার মোরবির সরকারি হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই হাসপাতালে মেরামতির কাজ চলছে। নতুন করে রং করা হচ্ছে, টাইলস বসানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এসে ছবি তুলবেন, সেই কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টার কোনও কমতি রাখছেন না। তাদের একটুও লজ্জা হচ্ছে না। এত মানুষ মারা গিয়েছেন, তার মধ্যেও উৎসবের তোড়জোড় করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।”

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের]

একই ধরনের কথা বলা হয়েছে আপের তরফেও। “প্রধানমন্ত্রীর ফোটোশুটে যেন কোনওরকম সমস্যা না হয়, সেই জন্য হাসপাতাল মেরামতির কাজ চলছে। গত ২৭ বছর ধরে বিজেপি সরকার যদি কাজ করত, তাহলে এরকম সময়ে মাঝরাতে হাসপাতাল সাজিয়ে তোলার দরকার হত না।” জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আসার খবর পেয়েই হাসপাতালের দেওয়াল আর ছাদ চুনকাম করা হয়। নতুন ওয়াটার কুলার কিনে আনা হয়। সূত্রের খবর, আহতদের সরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পালটে দেওয়া হয় বিছানার চাদর। ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করা গোটা হাসপাতাল।

তবে জোর কদমে কাজ করলেও এখনও হাসপাতালের বেশ কিছু অংশে মেরামতি করা সম্ভব হয়নি। বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, হাসাপাতালের কর্মচারীরা সাফাই অভিযানে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন, বিপদের মধ্যে থাকা সাধারণ মানুষের কথা তাদের মাথা থেকেই বেরিয়ে গিয়েছিল। বিনোদ দাপাট নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “আমার দুই আত্মীয় ওই সেতু দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তাঁদের কোনও খোঁজ নেই। হাসপাতালে এসে তাদের কথা জিজ্ঞাসা করলেও কোনও উত্তর পাইনি। কারণ সকলে এখন দেওয়াল রঙ করতে ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে আসবেন বলে আমাদের কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই তাঁদের।” অন্যদিকে, সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্ত করতে সিট গঠনের আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। 

[আরও পড়ুন: ‘কঠিন সময়ে ভারতের পাশেই রয়েছে আমেরিকা’, মোরবি দুর্ঘটনায় মোদিকে বার্তা বাইডেনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement