সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল থইথই গুজরাটে প্রকৃতির রোষ যেমন প্রতিদিন আছড়ে পড়ছে, তেমনই মানবিকতার নিদর্শনও উঠে আসছে৷ আশ্রয়হীন মানুষজনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে হিরো হয়ে উঠছেন গুজরাটের পুলিশকর্মীরা৷
[আরও পড়ুন: ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেটেও সাঁটানো মুখ্যমন্ত্রীর ছবি! বন্যার মধ্যেও ‘ভোটপ্রচার’ বিজেপির]
এর আগে বন্যাবিধ্বস্ত গুজরাটে সদ্যোজাত শিশুকে মাথায় নিয়ে গলা ডোবা জল ঠেলে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন এক কনস্টেবল৷ পুলিশের তরফে প্রতি মুহূর্তে জলমগ্ন এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ চাভদা খবর পান, গুজরাটের দেবীপুরার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন৷ একাধিক বাড়ি জলমগ্ন৷ ওই এলাকায় গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, একটি বাড়িতে বছর দেড়েকের মেয়েকে নিয়ে জলমগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন এক গৃহবধূ৷ একথা শুনে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করেননি সাব ইনস্পেক্টর গোবিন্দ চাভদা৷ বুদ্ধি করে মহিলার কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের গামলা নিয়ে একরত্তিকে চাপিয়ে গলা ডোবা জলে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা হাঁটেন ওই পুলিশকর্মী৷ দুর্গতদের কাছে ইন্সপেক্টর গোবিন্দ চাভদা হয়ে উঠেছিলেন ‘সুপার হিরো’৷
[আরও পড়ুন: বিফ-পর্ক পৌঁছে দিতে ‘না’, ধর্মীয় বিতর্ক উসকে আন্দোলনে জোম্যাটোর সরবরাহকারীরা]
এমনই আরও এক ‘সুপার হিরো’ কনস্টেবল পৃথ্বীরাজ জাদেজা৷ মরবি জেলার কল্যাণপুর গ্রাম জলের তলায়৷ ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছনোও এক সংগ্রাম৷ এই পরিস্থিতিতেই যেন ত্রাতা হয়ে এলেন পৃথ্বীরাজ৷ অসম সাহসে ভর করে তিনি দুই শিশুকে তুলে নিয়ে দুই কাঁধে চাপিয়ে নিলেন৷ শক্ত হাতে তাদের ধরে ভাঙতে থাকলেন প্রায় কোমর সমান জল৷ পেরিয়ে গেলেন দেড় কিলোমিটার রাস্তা৷ ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে তবে দু’জনকে কাঁধ থেকে নামান৷ সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়৷ রাতারাতিই পৃথ্বীরাজ হয়ে ওঠেন ত্রাতা৷ সকলেই বলছেন, গোবিন্দ চাভদা কিংবা পৃথ্বীরাজ জাদেজার মতো পুলিশকর্মীরাই এই বিপদের মুহূর্তে সাধারণ মানুষের কাছে ভগবানের রূপ হয়ে ধরা দিয়েছেন৷ আর পৃথ্বীরাজ বলছেন, রাজ্যবাসীর নিরাপত্তার ভার যে তারই ‘কাঁধে’৷
The post কোমর জলে নেমে দুই শিশুকে উদ্ধার, কাঁধ বাড়িয়ে বন্যাবিধ্বস্ত গুজরাটে ত্রাতা কনস্টেবল appeared first on Sangbad Pratidin.