shono
Advertisement

দুর্গাপুজো শিখতে গুজরাত থেকে কলকাতায় পুরোহিতরা, শোভাবাজার রাজবাড়িতে চলছে ক্লাস

এই ক্লাস চলবে ১০ দিন।
Posted: 09:55 AM Aug 30, 2022Updated: 10:38 AM Aug 30, 2022

অভিরূপ দাস: দুর্গাপুজোর পদ্ধতি শিখতে গুজরাত থেকে কলকাতায়। রীতিমতো ১৭৮৮ কিলোমিটার উজিয়ে আসছেন পূজারী ব্রাহ্মণরা। মেল ট্রেনের গতিতে উল্টোপাল্টা মন্ত্র নয়। গোটা গোটা অক্ষরে ধীরে ধীরে বলতে হবে। নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে চামুণ্ডে মুণ্ডমালিনি। যাতে দশভুজার সামনে উপস্থিত সক্কলে বুঝতে পারেন। গত শনিবার থেকে শোভাবাজার রাজবাড়ির দশভুজার দালানে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজোর ক্লাস। দশ দিনের কোর্সে পুরোহিতদের শেখানো হচ্ছে দুর্গাপুজো পদ্ধতির বিশুদ্ধ আচার ব‌্যবহার।

Advertisement

কী কী থাকবে পুজোর পাঠ‌্যক্রমে?

পুজো করতে বসে বিড়ি টানেন অনেক পুরোহিত। চায়ের কাপে চুমুক দেন। সর্বভারতীয় প্রাচ‌্য বিদ‌্যা আকাদেমির পক্ষ থেকে জয়ন্ত কুশারী জানিয়েছেন, পুজোর আসনে বসে চা-কফি, নস্যি, খৈনি কোনওরকম নেশার জিনিস ব‌্যবহার করা শাস্ত্রবিরোধী। একশো পুরোহিত অংশ নিচ্ছেন এই দুর্গাপুজো কোচিংয়ে। গুজরাত ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র পড়শি বাংলাদেশ থেকেও আসছেন পুরোহিতরা। কেন গুজরাত থেকে বাংলায়? শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, যেনতেন প্রকারে পুজো সারেন অনেকেই। স্রেফ পৈতে থাকলেই সংস্কৃত বোঝা যায় না। ফলে মন্ত্রের সিংহভাগ অর্থ না বুঝে পুজো করেন ভিনরাজ্যের ব্রাহ্মণরা।

[আরও পড়ুন: বৈদিক ভিলেজের প্রশিক্ষণ শিবিরে গরহাজির ৩ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, জবাব তলব বঙ্গ বিজেপির]

অভিনব এই দুর্গা কোচিংয়ে থাকবেন পুষ্টিবিশারদরা। পুজোর চারদিন পুরোহিতের ডায়েট বেঁধে দেবেন তাঁরা। শাস্ত্রমতে যিনি পুজো করবেন, দুর্গাপুজোর চারদিন কোনওরকম উত্তেজক খাবার খেতে পারবেন না। সর্বভারতীয় প্রাচ‌্য আকাদেমির অধ‌্যক্ষ জয়ন্ত কুশারীর কথায়, ডিম, মাছ, মাংস কিংবা উত্তেজক পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে পুরোহিতদের। সাত্ত্বিক আহারেই থাকতে হবে সপ্তমী থেকে দশমী। দশদিনের কোচিং শেষে হবে পরীক্ষা। পাস করলে মিলবে সার্টিফিকেট। পঞ্চাশের মধ্যে ত্রিশ পেতেই হবে টিকিধারীদের। পুজো করলেও, দুর্গা সাহিত্যের ইতিহাস সম্বন্ধে অজ্ঞ অনেকেই। প্রশ্নের উত্তর দিতে আমতা আমতা করেন। দুর্গা সাহিত‌্য নিয়ে আলোচনা হবে শোভাবাজার রাজবাড়ির ক্লাসে। চণ্ডীপাঠের অ আ ক খ শেখানো হবে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের পুরোহিতদের।

শনিবার এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ‌্য এবং পরিবার কল‌্যাণ দফতরের বিশেষ সচিব মিউটিনি বন্দ্য়োপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন স্বামীজির পৈতৃক আবাস এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সম্পাদক স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ, স্কটিশচার্চ কলেজের ফিজিক্সের অধ‌্যাপক শতদল ভট্টাচার্য‌, সংস্কৃত বিশ্ববিদ‌্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ‌্যায়। একশো পুরোহিত অংশ নিচ্ছেন। করোনা পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। পুজো করাকালীন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাঠও দেওয়া হচ্ছে ব্রাহ্মণদের।

[আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালের বেনিয়ম রুখতে নয়া পদক্ষেপ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহারে বড় বদল]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement