রঞ্জন মহাপাত্র: রুই, কাতলা, মৃগেল জাতীয় মাছের বিকল্প চাষ হিসেবে পাঙ্গাস অত্যন্ত লাভজনক। যে কোনও জলাশয়েই এই মাছ চাষ করা যায়। লাভজনক হওয়ায় অনেক বেকার যুবক বাড়ির আশপাশের পুকুর অথবা জলাশয়ে পাঙ্গাস চাষ শুরু করতেই পারেন। বর্তমানে মাছ চাষের বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির হারের সঙ্গে এই মাছের মূল্য সেভাবে বাড়েনি।
[মাছ চাষেই ১৫০ বিঘা জমিতে সোনা ফলাচ্ছেন আরতি, সেরার স্বীকৃতি কেন্দ্রের]
হলদিয়ায় প্রায় ২০০ একর জলা নিয়ে পাঙ্গাস চাষের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন অনেকেই। মাঝে মাঝে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট পুকুর তৈরি করেন তাঁরা। এগুলিকে ‘পয়েন্ট’ বলা হয়। কোনও পয়েন্টে কই, মাগুর, শিঙি৷ আবার কোনওটাতে গলদা চিংড়ি ও সরপুঁটির ডিম পোনা ছেড়ে চাষ করছেন। তবে পাঙ্গাস মাছের চাষ প্রতি বছর-ই করেন তাঁরা। নদীতেই সাধারণত পাঙ্গাস মাছটি বেশি পাওয়া যায়। প্রতিকূল পরিবেশেও অনায়াসেও বেঁচে থাকতে পারে পাঙ্গাস।
[হার না মানা লড়াই, মাশরুম চাষে বিপ্লব এনেছেন মেটেলির প্রদীপ]
পাঙ্গাস চাষে দানাদার জাতীয় খাবার ও সম্পূরক খাবার বলের আকারে নির্দিষ্ট জায়গায় সরবরাহ করতে হয়। একবারে না দিয়ে ২-৩বার সমানভাবে ভাগ করে দিলে খাবারের কার্যকারিতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়াও পুকুরে প্রয়োজনীয় চুন এবং সার প্রয়োগ করাটাও জরুরি।
[তাক লাগাচ্ছে সাঁইথিয়ায় পলিথিন দিয়ে জমি মুড়ে অভিনব চাষ]
চাষ শুরুর ছ’মাসের মধ্যেই পাঙ্গাসের গড় ওজন ৫০০-৬০০গ্রাম হয়৷ তখনই বাজারে তা বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে৷ পুকুরে যত বেশী ঘোরাঘুরির জায়গা পাবে, তত তাড়াতাড়িই বেড়ে ওঠে মাছগুলি৷ উন্নত চাষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হেক্টর প্রতি ১৫-২০ টন পাঙ্গাস উৎপাদন করা সম্ভব। একক চাষে প্রতি হেক্টরে ৮-১০ সেন্টিমিটার আকারের ২০-২৫ হাজার পোনা মজুত করা যেতে পারে। বিকল্প মাছের চাষ হিসেবে পাঙ্গাস মাছের চাষ অত্যন্ত লাভজনক। গ্রামীণ এলাকার যেকোনও পুকুরে এই মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
The post বিকল্প হিসাবে পাঙ্গাস মাছ চাষে গুরুত্ব হলদিয়ার মৎস্যচাষীদের appeared first on Sangbad Pratidin.