শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (RAIGANJ UNIVERSITY) ল্যাবে মিলল কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভোটের ডিউটি পড়েছিল ওই প্রৌঢ়ের। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন, সেই কারণেই এই ঘটনা। সত্যিই কি স্রেফ এই কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মী? নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য কারণ, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুধীর সরকার। বয়স ৫৬। রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার বাসিন্দা। বহুদিন ধরেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিনি। গত নির্বাচনেও ডিউটি পড়েছিল তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গতবার ভোটের ডিউটিতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ডিউটি পড়তেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন সুধীর। শুক্রবার দিনভর ভোটের ডিউটি থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। এরপর শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে মেলে সুধীরবাবুর ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম রাজ্যে কোনও ধর্মীয় স্লোগান নয়’, দাবি অমিত শাহর]
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরিকালচার বিভাগের প্রধান বলেন, “সুধীরের দেহের পাশ থেকে ভোটের ডিউটির কাগজটি মিলেছে। উনি কয়েকদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন।” রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, “উনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী হয়েছে তা নিশ্চয়ই প্রকাশ্যে আসবে। আমরা মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করব।” তবে এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের।