চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: নাবালিকা মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরিবার। কিন্তু প্রেমিকাকে ছাড়তে রাজি হয়নি প্রেমিক। উলটে সম্পর্ক রাখার জন্য প্রেমিকার উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের শ্রী হট্টগ্রামের বাসিন্দা রেখা খাতুন। দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায়য় এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওই নাবালিকার। প্রথমে বন্ধুত্ব, ধীরে ধীরে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাঁরা। নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারার পরই বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
[আরও পড়ুন: ওয়ার্ডে ঢুকে রোগিণীর ‘শ্লীলতাহানি’, গ্রেপ্তার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী]
এদিকে প্রেমিকাকে ছাড়তে নারাজ যুবক। যার জেরে তৈরি হয় জটিলতা। অভিযোগ, প্রেমিকাকে ফিরে পেতে রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করতে থাকে ওই যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তাঁর বাবার ফোনে পাঠিয়ে দেয় ওই যুবক। হুমকি দেওয়া হয় সেগুলি ভাইরাল করে দেওয়ার।
এই ঘটনাটি মেনে নিতে পারেনি কিশোরী। অপমানে রবিবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। ঘর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ছ’মাস আগে রেখা ও তার প্রেমিকের সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়। যার জেরে অভিযুক্ত যুবক ওই কিশোরীর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। বিভিন্ন বিশেষ মুহূর্তে কথোপকথন-ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। মৃত কিশোরীর পরিবারের দাবি, মানসিক চাপের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে তাঁদের মেয়ে।