সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়াদ শেষের আগেই সরিয়ে দেওয়া যাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অকেজো পঞ্চায়েত সদস্যদের। আর সেই অধিকার ন্যস্ত থাকবে গ্রামবাসীদের হাতেই। পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি কমাতে এবং গ্রামোন্নয়নে বাড়তি নজর দিতে যুগান্তকারী বিল আনল হরিয়ানার বিজেপি (BJP)-জেজেপি জোট সরকার। শুক্রবার হরিয়ানা বিধানসভায় বিলটি পেশ করেছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা জেজেপি নেতা (JJP) দুষ্মন্ত চৌটালা (Dushyant Chautala)। এবং তা পাশও হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা সরকার। এবার থেকে পঞ্চায়েত স্তরের সব নির্বাচনে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৫০ শতাংশ আসন। রাজ্যপাল সই করলেই নতুন ‘পঞ্চায়েতি রাজ সংশোধনী বিল’ আইনে পরিণত হবে।
হরিয়ানা সরকারের আনা নতুন আইনে বলা হয়েছে, এবার থেকে গ্রামবাসীদের যদি মনে হয় কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা সরপঞ্চ তাঁদের হয়ে কাজ করছেন না, বা উন্নয়নের কাজে মন দিচ্ছেন না বা কোনও প্রকার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তাহলে তাঁরাই ওই পঞ্চায়েত সদস্য বা সরপঞ্চকে প্রত্যাহার করতে পারবেন। হরিয়ানা সরকার এই নিয়মকে বলছে ‘রাইট টু রিকল’ (Right to Recall)। প্রক্রিয়াও খুব সোজা। কোনও পঞ্চায়েত সদস্যের কাজে অখুশি হলে তাঁর বিরুদ্ধে একটি চিঠি লিখে বিডিও, পঞ্চায়েত আধিকারিক এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। ওই চিঠিতে থাকতে হবে ৩৩ শতাংশ গ্রামবাসীর সই। এরপর গ্রামসভার বৈঠক ডেকে অনেকটা সংসদের ধাঁচে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে। তারপর গোপন ব্যালটে হবে ভোটাভুটি। দুই তৃতীয়াংশ ভোটার যদি ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ভোট দেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে প্রত্যাহার করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানে গিয়ে ৩৭০ ধারা চালু করুন’, ফারুখ আবদুল্লাকে কটাক্ষ সঞ্জয় রাউতের]
এ তো গেল ‘রাইট টু রিকল’। সেই সঙ্গে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এবার থেকে হরিয়ানার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসনে সংরক্ষণ পাবেন মহিলারা। জোড়-বিজোড় সংখ্যার ভিত্তিতে বুথগুলি সংরক্ষণ করা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। শুক্রবার এই বিল পেশ করে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা দাবি করেছেন,”এই নতুন আইন পঞ্চায়েতের কার্যপদ্ধতিতে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনবে।”