সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার করোনা (CoronaVirus) চিকিৎসায় রামদেবের তৈরি বিতর্কিত ওষুধ করোনিল ব্যবহার করবে হরিয়ানা সরকার! সেরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় তেমনটাই ইঙ্গিত মিলছে। সোমবার হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ টুইটারে জানিয়েছেন, সেরাজ্যে এক লক্ষ করোনা রোগীকে বাবা রামদেবের তৈরি করোনিল ওষুধটি বিনামূল্যে দান করা হবে। এবং এর খরচ অর্ধেক বহন করবে হরিয়ানা সরকার। আর অর্ধেক বহন করবে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি নিজে।
এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাবা রামদেব (Ramdev) করোনিলকে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে দাবি করলেও কোনও বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা তাঁর দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকী, ভারতের আয়ুশ মন্ত্রকও পতঞ্জলির (Patanjali) তৈরি এই ওষুধটিকে করোনার ওষুধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বাবা রামদেবের তৈরি এই ওষুধের কোনও বিজ্ঞানসম্মত ট্রায়ালও হয়নি। করোনা চিকিৎসায় আদৌ এই ওষুধ উপকারে লাগে, এই ধরনের কোনও প্রমাণই এখনও মেলেনি। তাহলে এ হেন ওষুধ কেন মরণাপন্ন করোনা রোগীদের দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেটেও মোদির ছবি থাকা উচিত, খোঁচা জোটসঙ্গীরই]
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের (Harsh Vardhan) উপস্থিতিতে করোনার ওষুধ হিসেবে ‘করোনিল’ বাজারে আনেন রামদেব। তিনি দাবি করেন, এই ওষুধটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বেঁধে দেওয়া প্যারামিটারে গবেষণা করে তৈরি। এবং ভারত সরকার এতে ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু পরে ভারত সরকারের আয়ুশ মন্ত্রক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রামদেবের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। করোনার ওষুধ বিক্রির মিথ্যা প্রচারের জন্য রামদেবের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। তাঁর সংস্থা পতঞ্জলিকে জরিমানাও করে মাদ্রাজ হাই কোর্ট। পরে করোনার ওষুধ হিসেবে নয়, করোনিলকে কেন্দ্র ছাড়পত্র দেয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক ওষুধ হিসেবে। এখনও রোগ প্রতিরোধ বর্ধক হিসেবেই বিক্রি চলছে করোনিলের। হরিয়ানা সরকারের যুক্তি করোনা রোগীদের ইমিউনিটি বাড়াতেই বাবা রামদেবের এই ওষুধ উপহার দিচ্ছেন তাঁরা।