সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে কোটি কোটি মানুষ আশাহত হয়েছেন। না, শুধু তিনি এক রাজ্যের মন্ত্রী বলে নন, আসলে হরিয়ানায় তিনিই প্রথম ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের (Covaxine) ডোজ নিয়েছিলেন। ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর আক্রান্ত হওয়ার খবরে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছিল এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছিল, আদৌ মন্ত্রীমশাই করোনার প্রটোকল মানছেন কিনা সেটা নিয়েও।
রবিবার এই দুই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন অনিল ভিজ। জানিয়ে দিলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে কোনও প্রটোকল তিনি ভঙ্গ করেননি। আক্রান্ত হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে ভরতি হয়ে গিয়েছেন। আসলে অনেকে দাবি করছিলেন, অনিল ভিজ (Anil Vij) নাকি, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও কোনও নিয়ম না মেনে একাধিক মিটিং করেছেন। সেই দাবি পুরোপুরি নস্যাত করে দিয়েছেন ভিজ। সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন হরিয়ানার মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: প্রথম সংস্থা হিসেবে ভারতে করোনা ভ্যাকসিন বাজারজাত করার অনুমতি চাইল ফাইজার]
অনিল ভিজ বলছেন, তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়া মানেই এমন নয়, যে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) কার্যকরী নয়। তাঁর দাবি, “ভারত বায়োটেক আমাকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর নিতে হয়। এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর তৈরি হবে অ্যান্টিবডি। একমাত্র সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করার পরই করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।” গতকাল ভিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই অবশ্য ভারত বায়োটেকের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। তারাও দাবি করেছিল, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। আর প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। ভিজ যেহেতু দ্বিতীয় ডোজ এখনও নেননি, তাই তাঁর শরীরে এখনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। সুতরাং, তাঁর আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার কোনও সম্পর্ক নেই।