shono
Advertisement

রাজ্যের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না! হাথরাস কাণ্ডে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র দেখছেন যোগী

বিদেশি ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও প্রকাশ্যে এসেছে।
Posted: 09:30 AM Oct 06, 2020Updated: 09:30 AM Oct 06, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস (Hathras) কাণ্ডে এবার সামনে এল ‘ষড়যন্ত্র’ থিওরি। না। নিপীড়িতার পরিবার কিংবা অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্তদের তরফে নয়। এই দাবি এল স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) তরফে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানালেন, যারা রাজ্যের উন্নতি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন, যাঁরা এই উন্নতি দেখে একেবারেই খুশি নন, তাঁরাই আদপে হাথরাসের ঘটনা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “রাজ্যের উন্নয়ন কিছু কিছু মানুষের একেবারেই সহ্য হচ্ছে না। তাঁরা সাম্প্রদায়িক হিংসা বাধাতে চাইছেন। কারণ এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারবেন। তাই তাঁরা ষড়যন্ত্র করছেন। এঁদের রুখতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

Advertisement

আদিত্যনাথের এই মন্তব্যের পরই সোমবার গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অন্তত ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশদ্রোহিতা, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা প্রচার, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রশাসনের সম্মানহানি প্রভৃতি নানা ধরনের অভিযোগ।এছাড়াও অন্য একটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, “যত বড়েই সমস্যা হোক না কেন, আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান সম্ভব।”

[আরও পড়ুন: যোগীর পুলিশে আস্থা নেই! ৮০০ কিলোমিটার দূরে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের নেপালের যুবতীর]

তবে এরই পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের প্রতি আদিত্যনাথের বার্তা, মহিলা এবং আদিবাসী জাতি-প্রজাতি সংক্রান্ত ঘটনার ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশকে আরও সংবেদনশীল এবং সক্রিয় হতে হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী, এ পি সিং এবার হাথরাসের ঘটনায় চার অভিযুক্তের হয়ে লড়বেন। সিংকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছে উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিদের দল, অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় মহাসভা(এবিকেএম)।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিন দিন আগে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের ফরেন্সিক রিপোর্টকে হাতিয়ার করে রবিবারের সভায় রব উঠেছিল, ওই দলিত তরুণীকে মোটেই ধর্ষণ করা হয়নি। কারণ রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখই নেই। প্রসঙ্গত, সফদরজং হাসপাতালের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখ ছিল না। যদিও চিকিৎসকরা সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছেন, নির্যাতিতার সঙ্গে যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল, তার ১১ দিন পর নমুনা আসে ফরেনসিক বিভাগের কাছে। তত দিনে সব প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ারই কথা। তাই সেটি একেবারেই নির্ভরযোগ্য নয় বলেই দাবি করেছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: গডসের নামে ইউটিউব চ্যানেল খুলছে হিন্দু মহাসভা, দেখানো হবে গান্ধীহত্যার কারণ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement