গোবিন্দ রায়: নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক (SLST) নিয়োগ মামলায় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নতুন করে FIR দায়ের করবে সিবিআই। আগামিকালের মধ্যেই প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে তাদের। প্রয়োজনে এসএসসির (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং বাকি সদস্যদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনটাই নির্দেশ আদালতের।
এদিন আদালত জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে, এমনকী কোনও রাজনৈতিক নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে কমিটির অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তারা। একইসঙ্গে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) পর্যবেক্ষণ, “সিবিআইয়ের সামনে উপদেষ্টা কমিটির বাকি সদস্যরা যা বয়ান দিয়েছেন তার সঙ্গে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বয়ান মিলছে না।”
[আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ পার, ইডি মামলায় জামিন সারদা ও রোজভ্যালি কর্তার]
এদিন বিচারপতি আরও জানান, “আদালতের সামনে শান্তিপ্রসাদ সিনহা বারবার বলেছেন যে উপদেষ্টা কমিটির কোনও বৈঠক হয়নি। তিনি নির্লজ্জের মতো মিথ্যা বলেছেন। কিন্তু এই মামলায় দেখা যাচ্ছে যে ওই কমিটির কমপক্ষে দু’টি বৈঠক হয়েছিল বা তার বেশিও হয়ে থাকতে পারে।” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “তাহলে কেন বারবার মিথ্যা বলছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা?” আদালত (Calcutta High Court) আরও জানায়, মন্ত্রীর চেম্বারে উপদেষ্টা কমিটির কোনও বৈঠক হয়েছিল কিনা, বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী কিছু জানতেন কিনা, সেটা তদন্তসাপেক্ষ। সিবিআই চাইলে সেটা খতিয়ে দেখতে পারে।
এদিকে আদালতে সরকারি আইনজীবীরা আবেদন জানান, “রাজ্যকে তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হোক। যদি কোনও বৈঠক হয়ে থাকে তাহলে সেটা মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের চেম্বারে হয়ে থাকতে পারে। মন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু জানতেন না।” কমিশনের তরফেও তদন্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতির প্রশ্ন, “পেটে খিদে থাকলে আর পকেটে টাকা না থাকলে কেমন লাগে জানেন?” সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে চিঠি দিয়েছিল বার কাউন্সিল। এ প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “বার কাউন্সিল প্রধান বিচারপতিকে যে চিঠি দিয়েছে সেটা খুব ভাল করে লেখা হয়েছে। কে লিখেছে আমি আন্দাজ করতে পারি। ওই লেখনী থেকে আমাদের শেখা উচিত। আমাকে বিচারপতি কারনানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আমাকে হজম করতে হয়েছে।”