সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও তাঁর সহ-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়সীমা ফুরোলেও একটি ক্লাসে ছিল বছর পাঁচেকের এক ছাত্র। তাকে তালাবন্দি করেই বাড়ি চলে যান অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা, অন্য শিক্ষকরা ও সাধারণ কর্মীরা। পরে পরিবারের লোকেরা এসে ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করেছে যোগীরাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। অন্য পাঁচ শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের সুখপুরার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটানাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। ওই দিন নির্ধারিত সময় সমস্ত ক্লাস শেষ হলে প্রধান শিক্ষিকা উর্মিলা দেবী ও পাঁচ সহকারি শিক্ষক স্কুল ছাড়েন। গোটা স্কুলের সমস্ত শ্রেণিকক্ষে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও তখনও একটি ক্লাসে বছর পাঁচেকের এক ছাত্র ছিল। তাঁকে না বের করেই স্কুলে তালা দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই পড়ুয়া সময় মতো বাড়ি ফিরছে না দেখে পরে স্কুলে হাজির হয় পরিবারের লোকেরা। তারাই তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াকে উদ্ধার করে। কী করে ওই ছাত্র শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চোখের আড়ালে থেকে গেল?
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মানেই ধর্ষণ নয়, রায় কেরল হাই কোর্টের]
জানা গিয়েছে, ক্লাস চলাকালীন ঘুমিয়ে পড়েছিল ছাত্রটি। স্কুল ছাড়ার সময় তাকে আর কেউ খেয়াল করেননি। ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা উর্মিলা দেবী ও পাঁচ সহকারী শিক্ষক আফরোজ আরা, প্রিয়াঙ্কা যাদব, শান্তি গোন্দ, মীরা গোন্দ, মীরা দেবী ও সুরেন্দ্র নাথ।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় বিজেপির টার্গেট রাজ্যের ১৯টি হারা কেন্দ্র, জুলাই থেকেই শুরু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আনাগোনা]
শুক্রবার এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রধান শিক্ষিকা উর্মিলা দেবীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকি পাঁচ শিক্ষকের বেতন বাড়ার কথা ছিল, তা বর্তমানে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাল্লিয়ার (Ballia) শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক মনিরাম সিং জানান, গোটা বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ তদন্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হল আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।