ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: শিয়রে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি ঘিরে ক্রমশ রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়ছে। শনিবার একদিকে মালদহ-নবদ্বীপে ব়্যালি-জনসভা করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। অন্যদিকে, কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan)। একদিকে যেমন কোভিড টিকা (Covid Vaccine) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিলেন তিনি। তেমনই বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি।
এদিন দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্যখাতে কেন্দ্র ব্যাপক সাহায্য করেছে। কোভিড-সহ সব ক্ষেত্রেই উদারহস্ত কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো হতাশাজনক। যেক্ষেত্রে দরকার কেন্দ্র প্রশংসা করেছে। হতাশাজনক কাজের সমালোচনা করতেই হবে।”
[আরও পড়ুন : কৃষি আইনের প্রতিবাদে কংগ্রেস কর্মীরা, বিজেপির সদর দপ্তর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার]
এদিন ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে তিনি জানান, “যখন যেমন দরকার হবে সেভাবে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে এখনই খোলা বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে শুধু কোভিড পরিস্থিতি নিয়েই নয়, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও সরব হয়েছেন মন্ত্রী।
হর্ষ বর্ধনের কথায়, রাজ্যে পরিবর্তন হবে। রথযাত্রা সেই কাজকে বড় সহায়ক। তিনি আরও বলেন, “১৯৯৩ সাল থেকে রাজনীতি করছি। কোনও দিন কোনও কারণে মিথ্যা বলিনি। যাচাই করে দেখুন রাজ্যের বাস্তব অবস্থা। বিজেপি নেতারা নন মানুষ বলছে, পরিবর্তন হবে।” এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন বিজেপি নেতা শিব প্রকাশ, স্বপন দাশগুপ্ত, সব্যসাচী সাংসদরা। তাঁরাও একযোগে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
শিব প্রকাশ প্রশ্ন তোলেন, “আর কতদিন কেন্দ্রকে গালি দিয়ে চলবে?” তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যে সাড়ে পাঁচ লক্ষ রোহিঙ্গা ভোটার রয়েছে। আমফান, করোনার টাকা গিয়েছে বিত্তশালীদের ঘরে। আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ পরিবর্তন চাইছে।” তাঁর কথায়, “লক্ষ্য সোনার বাংলা গড়া। তাই আগে পরিবর্তন দরকার।”