সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দেশে আরও উন্নতমানের ও বেশি সংখ্য়ক চিকিৎসক তৈরি করতে উদ্যোগী কেন্দ্র। তাই দেশজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক মেডিক্যাল কলেজ বানাতে চায় মোদি সরকার। ইউক্রেন-সহ অন্যান্য দেশ থেকে তুলনায় নিম্নমানের সার্টিফিকেট নিয়ে নয়। দেশের মাটিতে উচ্চমানের শিক্ষা নিয়েই তৈরি হন ভবিষ্যতের ডাক্তাররা। এই লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ কেন্দ্রের।
সুপ্রতিষ্ঠিত, নামী যেসব হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ নেই, তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ব্রিচক্যান্ডি, লীলাবতী, কোকিলাবেন, মেদান্ত, মা অমৃতা, মাতা আনন্দময়ী হাসপাতাল-সহ ৬২টি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন, তারা মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করুন, পরিকাঠামোগত সাহায্য করবে কেন্দ্র। হাসপাতাল তৈরির অনুমতি-সহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলিকে সরলীকরণের কথাও দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অস্কার না জিতলেও মনোনীতরা পেলেন ব্যাগ ভরতি ১ কোটি টাকার গিফ্ট, কী কী রয়েছে?]
বিষয়টি সোমবার স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই। তাঁর মতে, “স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা করার কোনও জায়গা নেই। পয়সা দিয়ে বিদেশে গিয়ে কমমানের পরীক্ষায় পাশ করে সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে এসে কেউ ডাক্তারি করবে, তা চলবে না। এদেশেই ডাক্তারি শিক্ষা পেতে হবে, প্রয়োজনে তারপর বিভিন্ন দেশে গিয়ে তাঁরা সেবাদান করুন। সেই ব্যবস্থা করে দেব আমরা।” এই লক্ষ্যে প্রথমেই কেন্দ্র জোর দিয়েছে ডাক্তারি পড়ুয়াদের আসন বৃদ্ধি করার দিকে। এই উদ্দেশ্য সফল করতেই নামী হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, নতুন হাসপাতালগুলি বাছাই করতে তারা অগ্রাধিকার দেবে সেই সব বেসরকারি হাসপাতালকে, যারা সেবার লক্ষ্যে কাজ করে। বিভিন্ন ট্রাস্ট্রের অধীনে থাকা দাতব্য চিকিৎসা প্রদানকারী হাসপাতালকেই তাই নয়া মেডিক্যাল কলেজ খুলতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোটা দশেক হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ খোলার আবেদন করেছে। মন্ত্রকের আশা, চলতি মাসের শেষে যা গিয়ে ঠেকবে ১৫ থেকে ২০-তে। সেক্ষেত্রে আগামী শিক্ষাবর্ষে অন্তত হাজার দেড়েক নয়া আসনের ব্যবস্থা করা যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।