সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলাতঙ্ক একসময়ে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল! এই ভাইরাস সরাসরি মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করে। যা মূলত আক্রান্ত প্রাণীর লালারস থেকে ছড়ায়। যার ফলে মৃত্যুর হারও অনেক ছিল। তবে জলাতঙ্কের টিকা আবিস্কারের পর, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর হার কমে। তবে এখন চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র জলাতঙ্কের টিকা নিলেই যে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নয়। সঙ্গে নিতে হবে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন।

সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, দশকের পর দশকে এই ভাইরাস মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও, এখনও প্রতিবছর প্রায় ৫৭২৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন।
চিকিৎসকরা বলেন, কুকুরের কামড় বা হাঁচড়ের পর পরই র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার। তা না হলে এই ভাইরাস প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। ডাক্তার মত, এই ভাইরাসকে আটকাতে শুধু ভ্যাকসিন নয়, নিতে হবে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন।
গুরুগ্রামের ফোর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সংক্রামক রোগের পরামর্শদাতা ডাঃ নেহা রাস্তোগি পাণ্ডা বলেন, "র্যাবিস ভ্যাকসিন এই ভাইরাসকে থামানোর জন্য যথেষ্ট নয়। স্নায়ুতন্ত্রে ছড়িয়ে পড়া রুখতে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিনও দরকার। যা মানবদেহে দ্রুত কাজ শুরু করে।"
র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন কেন দরকার? কী এই র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন?
এটি একটি ইঞ্জেকশন যা কুকুর বা সেই জাতীয় প্রাণীর কামড়ের পরপরই একজন ব্যক্তিকে জলাতঙ্ক রোগ থেকে রক্ষা করে। এই ইঞ্জেকশন অ্যান্টিবডি থাকে। যা জলাতঙ্ক ভাইরাসকে রুখে দিতে পারে। আহমেদাবাদের শালবি হাসপাতালের সংক্রামক রোগ পরামর্শদাতা ডাঃ সংকেত মানকড় বলেন, "যাদের আগে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়নি তাঁদের ক্ষেত্রে এই রেবিজ ইমিউনোগ্লোবুলিন তাৎক্ষণিক সুরক্ষা হিসাবে কাজ করে।"
তবে এই র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন ভারতে পাওয়া যায়? উত্তর হ্যাঁ। তবে এই ইঞ্জেকশন র্যাবিস ভ্যাকসিনের থেকে অনেক বেশি দামি। যেখানে র্যাবিস ভ্যাকসিন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। সেখানে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিনের দাম ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার।