সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই লক্ষ্য প্রায় সকলের। তাই খাদ্যতালিকায় নানারকমের অদলবদল চলছে। তবে বাড়ির খুদে সদস্যের পুষ্টিকর খাবারের কথা শুনলেই মুখভার। পুষ্টিকর নয় মুখরোচক খাবারের দিকেই যত ঝোঁক তার। তাই তো সারাক্ষণ প্যাকেটজাত নানা খাবারে মন। আর খুদেটার হাসি মুখ দেখার আশায় আপনিও তার মুখের সামনে সেসব খাবারই তুলে ধরছেন, তাই তো? নিজের সন্তানের ভাল চাইলে একাজ আর নয়। কারণ, খাদ্যাভ্যাসে আজই বদল না করলে বড়সড় বিপদে পড়তে হতে পারে আপনাকে। কোন কোন ভুলেও দেবেন না শিশুতে, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
Advertisement
- সন্তান ফল ছুঁয়ে দেখে না, তা নিয়ে বাবা-মায়ের আক্ষেপের শেষ নেই। আর ফলের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে ফলের পুষ্টিসমৃদ্ধ নানা খাবারদাবার কিনে দেন নিশ্চয়ই। তবে জানেন কি এভাবে আপনার ছেলেমেয়ের ক্ষতিই হচ্ছে বেশি। কারণ, তার ফলে দাঁতের দফারফা হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
- এক কাপ গরম চা আর তার সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। শীতের সন্ধে জমে গেল তাই না। আরে মশাই আপনাকে দেখে খুদেও যে এই ধরনের খাবারদাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। আর তার শরীরে বেশি পরিমাণ ক্যালোরি, ফ্যাট ঢুকবে। তার ফলে অজান্তেই যে চরম ক্ষতি হবে তা আপনি টেরও পাবেন না।
[আরও পড়ুন: সন্তানের অমঙ্গলের ভয় দেখিয়ে বধূর খোলামেলা ছবি আদায় জ্যোতিষীর, তারপর…]
- অতিরিক্ত মিষ্টি কোনও প্যাকেটজাত খাবার আপনার বাড়ির খুদেকে দেবেন না। তাতে অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং শর্করা শরীরে ঢুকবে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণ ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানসিক অবসাদও গ্রাস করতে পারে তাকে।
- আপনার খুদের কি ফ্রিজ খুলেই কোল্ড ড্রিংকসে গলা ভেজানোর অভ্যাস রয়েছে? সন্তানকে সুস্থ রাখতে চাইলে, কিছুতেই একাজ করতে দেবেন না।
- অতিরিক্ত চিজ, মাখন ভুলেও দেবেন না। খুদে সদস্যটিকে এই জাতীয় খাবার দিন নির্দিষ্ট পরিমাপ অনুযায়ী। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেন।
- তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। আবার খুদেও খেয়ে নেয়। একথা ভেবে নুডলস খাওয়ান অনেকেই। তবে শিশুকে প্রকৃত অর্থে সুস্থ সবল করে তুলতে চাইলে নুডলস খাওয়াবেন না। কারণ, তার ফলে অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে চলে যেতে পারে। হতে পারে বিপদও।
- মধু খাওয়ান বুঝে শুনে। গুণগত মানে খারাপ মধু খাওয়ার ফলে বমি, শ্বাসকষ্ট এমনকী পক্ষাঘাতের মতো সমস্যাও হতে পারে শিশুর।
খুব ভেবেচিন্তে শিশুর খাদ্যতালিকা তৈরি করুন। নইলে করোনাকালে তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে অনেকটাই। হতে পারে চরম ক্ষতিও।