সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের রাজনৈতিক পালাবদল রাতারাতি রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সমীকরণও অনেকটা বদলে দিল। জেডিইউ জোট ছাড়ার ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে আর অপ্রতিরোধ্য রইল না বিজেপি। শুধু তাই নয়, জেডিইউ (JDU) যেহেতু বিরোধী শিবিরে সরাসরি যোগ দিচ্ছে, তাই কিছুটা শক্তিশালী হল বিরোধীরাও।
এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় জেডিইউয়ের সাংসদ সংখ্যা ৫। তাঁরা এনডিএ-তে থাকাকালীনও এনডিএ (NDA) রাজ্যসভায় এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না। তাদের সাংসদ সংখ্যা ছিল ১০৫। এবার সেটা আরও কমে হয়ে গেল ১০০। শিব সেনার (Shiv Sena) শিণ্ডে শিবির বিজেপির সঙ্গে থাকলেও শিব সেনার রাজ্যসভার সাংসদরা উদ্ধবপন্থী। সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ১১৯ জন সাংসদের সমর্থন। জেডিইউ শাসক শিবিরে থাকাকালীন এই সংখ্যাটা জোগাড় করতে খুব একটা অসুবিধা হত বা বিজেপির। কিন্তু এবার সেই অঙ্ক অনেকটাই বদলে গেল।
[আরও পড়ুন: হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া আদালতের কাজ নয়: সুপ্রিম কোর্ট]
আপাতত এনডিএ শিবিরের মোট আসন সংখ্যা ১০০। বিজেপি চাইলে এখনও এআইএডিএমকে, বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির (YSR Congress) সমর্থন পেতেই পারে। বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৯ জন করে। এআইএডিএমকে-র সাংসদ সংখ্যা ৪। সেক্ষেত্রে এই তিন দলের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে এনডিএ। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড়ের জন্য এদের সবার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত না বিজেপিকে (BJP)। এবার থেকে তিন দলের সমর্থনই প্রয়োজন হবে বিজেপির। যার অর্থ এই দলগুলি বিজেপির কাছে আরও দরকষাকষি করার মতো জায়গায় পৌঁছে গেল।
[আরও পড়ুন: বিহারের মহাজোট আগের মতো নয়, ব্যর্থ হলে চাপ পড়বে ২০২৪ লোকসভায়: প্রশান্ত কিশোর]
তাছাড়া বিজেপির জন্য নীতিশের ছেড়ে যাওয়াটা একেবারেই ভাল বিজ্ঞাপন নয়। কারণ এই মুহূর্তে গোটা দেশে বিজেপির বড় জোটসঙ্গী বলতে তেমন কোনও দল অবশিষ্ট নেই। এই মুহূর্তে গোটা দেশে বিজেপির বৃহত্তম জোটসঙ্গী এআইএডিএমকে (AIADMK)। তাদেরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তথৈবচ অবস্থা। বাদবাকি যারা সরকারিভাবে এনডিএতে রয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেউ নেই।