সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনওদিন সাক্ষাৎ না হওয়া দ্রোণাচার্যকে গুরু মেনে তাঁর মূর্তি স্থাপন করে লক্ষ্যভেদ করতেন একলব্য। পরবর্তীকালে গুরুদক্ষিণা হিসাবে ডান হাতের বুড়ো আঙুল অর্পণ করেছিলেন গুরুর চরণে। এযুগের 'একলব্যে'র খোঁজ মিলল কর্নাটকে। এই যুবক মনেপ্রাণে গুরু মেনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বাড়িতে গড়েছেন মোদি-মন্দিরও। তৃতীয়বারের জন্য মসনদে বসুন তিনিই। এই কামনায় এবার ঈশ্বরের কাছে নিজের একটি আঙুল কেটে অর্পণ করলেন অরুণ ভার্নেকর। কর্নাটকের যুবকের মোদিভক্তি দেখে চমকে গিয়েছেন আত্মীয়-প্রতিবেশীরাও।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কর্নাটকের কারওয়ারে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকেন অরুণ। বিয়ে থা করেননি। আগে কাজ করতেন মুম্বই ফিল্মসিটিতে। তাঁর এহেন মোদিভক্তির উদাহরণ লোকে আগেও দেখেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তিনি এমন কিছু করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেযাত্রায় তিনি সফল হননি। তবে এবার মনের ইচ্ছে পূরণ করে ফেলেছেন অরুণ। তৃতীয়বারও মোদিকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান। তাই তাঁর সাফল্য কামনা করে মা কালীর কাছে নিজের বাম তর্জনী কেটে উৎসর্গ করে দিয়েছেন অরুণ।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে আপ’, কেজরিওয়ালকে তোপ দেগে দল ছাড়লেন দিল্লির মন্ত্রী]
তবে এখানেই শেষ নয়। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থেকে বাড়িতে মোদির মূর্তি গড়ে মন্দিরও তৈরি করেছেন অরুণ। আঙুল কাটার পর নিজের রক্ত দিয়ে সেই মন্দিরের দেওয়ালেই প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা কামনা করে বিশেষ বার্তা লিখেছেন তিনি। নমোকে 'মোদিবাবা' হিসাবে সম্বোধন করে দেওয়ালে লেখা রয়েছে, 'মোদিবাবা সবচেয়ে মহান।' পাশাপাশি মোদির নেতৃত্বেই পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সংঘাতে সমাপ্তি ঘটেছে। কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। এমনটাই বিশ্বাস অরুণের।
অরুণের এই ভক্তি নজর কেড়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের। কিন্তু এই ধরনের কাণ্ড না ঘটানোর আর্জি জানিয়ে গেরুয়া শিবিরের এক নেতা নন্দ কিশোর জানিয়েছেন, "এটা পাগলামি। এই ধরনের কাজকর্ম না করেও তিনি সকলের কাছে প্রধানমন্ত্রী যা যা অর্জন করেছেন তা তুলে ধরতে পারতেন। তাতেই মোদি খুশি হতেন। অন্য আরেক বিজেপি কর্মী জগদীশ নায়েক বলেন, "এটা খবুই আশ্চর্যের। আমি সকলকে অনুরোধ করছি এই রকম কিছু করবেন না। আমরা সকলে চাই মোদি নির্বাচনে জয়লাভ করুন। আপনারা যথাযথ উপায়ে তাঁর প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রদর্শন করুন।"