সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গান, অভিনয়, সিনেমা পরিচালনার পাশাপাশি জনসেবাই তাঁর ধর্ম। আর তাই তো এ ব্যাপারে একবারেই হাল ছাড়বেন না বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার হিরো আলম। ২০১৮ সালে মার খাওয়ার পর বাংলাদেশের কাহালু নন্দীগ্রাম অঞ্চলে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তিনি । একই আসনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
সংবাদমাধ্যমকে হিরো আলম জানিয়েছেন, ”২০১৮ সালে মার খেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাই আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।” আলম আরও জানালেন, ”অভিনয় কিছুটা অবশ্য কমে যাবে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। গানও এখন কিছুটা কম করব। তবে কোনওটাই করব না, তা নয়।”
৫ জানুয়ারি বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মহম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে উক্ত দুই আসনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হিরো আলম।
[আরও পড়ুন: সাধাসিধে দিলীপ থেকে সুরের জাদুকর, কীভাবে ‘মাদ্রাজ মোৎজার্ট’ হয়ে উঠলেন এ আর রহমান? ]
প্রসঙ্গত,কয়েক মাস আগে পুলিশের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন হিরো আলম! সংবাদ মাধ্যমের সামনে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে হিরো আলম বলেন, পুলিশ তাঁকে থানায় ডেকে এনে মানসিক নির্যাতন করছে।
হিরো আলম আর বেসুরো, বিকৃত করে গান গাইবেন না! এ কোনও গুঞ্জন নয়। বরং নিজেই পুলিশকে মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় গায়ক ও ইউটিউবার। যেভাবে বিকৃত সুরে গান গেয়ে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন, বিশেষ করে বিকৃত সুরে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ায় হিরো আলমের নামে পুলিশের অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। তা থেকে বাঁচতেই এবার পুলিশের কাছে বিকৃত সুরে গান না গাওয়ার মুচলেকা দিলেন হিরো আলম। পুলিশকে সোজা জানালেন, এবার থেকে বিকৃত সুরে গান গাওয়া বন্ধ! আর তারপরেই সংবাদ সংস্থার কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন হিরো আলম।