ইস্টবেঙ্গল-৩ (রালতে, প্লাজা-২)
চার্চিল ব্রাদার্স- ২(পিটার, নিকোলাস)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে গোলে ফিরলেন উইলিস ডিওন প্লাজা। তাঁর জোড়া গোলে ভর করেই চার্চিলের বিরুদ্ধে মূল্যবান তিন পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল। শেষ ২৫ মিনিটে খেলার স্কোর যখন ২-২, সবাই যখন ধরে নিয়েছে প্লাজা-চার্লসের ব্যর্থতায় মাঠে দু’পয়েন্ট ফেলে আসতে হবে খালিদ জামিলকে, তখনই কাটসুমির কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে দলকে মূল্যবান জয় এনে দিলেন প্লাজা। শেষপর্যন্ত ৩-২ গোলে চার্চিল ব্রাদার্সকে হারিয়ে লিগ টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।
[কার্ট রেসিংয়ে মুখোমুখি শচীন এবং ব্রেট লি, জানেন কে জিতলেন?]
খেলার প্রথমার্ধ থেকেই দেখা যায় মোহনবাগান বিরুদ্ধে ম্যাচের তুলনায় এদিনের চার্চিল ব্রাদার্স যেন অনেক বেশি সংঘবদ্ধ। নিজেদের মধ্যে পাস খেলা হোক কিংবা পজিশনিং সবেতেই এগিয়ে ছিল গোয়ার দলটি। আর সেকারণেই গত তিনটি ম্যাচে একটিও গোল না পাওয়া চার্চিল খালিদ জামিলের ছেলেদের বিরুদ্ধে ১৬ মিনিটেই গোল পেয়ে যায়। লাল হলুদ রক্ষণের ভুলেই গোলটি করে যান পিটার। যদিও পরমুহূর্তেই নিজেদের ভুল শুধরে নেয় ইস্টবেঙ্গল। প্লাজার দুর্দান্ত থ্রু থেকে গোল করেন গতম্যাচের নায়ক রালতে। এরপর গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে আক্রমণের ঝড় তোলে কাটসুমি-আমনারা। কিন্তু গোল করতে বারেবারেই ব্যর্থ হয় তাঁরা। শেষপর্যন্ত প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল করলেন প্লাজা। কাটসুমির সেন্টার থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর এই স্ট্রাইকার।
[শিখরে বাংলা, প্রথম বাঙালি হিসাবে সাতটি শৃঙ্গ জয় সত্যরূপ সিদ্ধান্তর]
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে চার্চিল ব্রাদার্স। আর গোয়ার দলটির চাপে পড়ে ৫৯ মিনিটেই গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। প্রকাশের ভুলে গোল করার সহজ সুযোগ পেয়ে যান নিকোলাস ফার্নান্ডেজ। আর তাঁর বাঁ পায়ের শট রুখতে ব্যর্থ হন মিরশাদ। এরপর পুরোপুরি রক্ষণাত্মক হয়ে যায় চার্চিল ব্রাদার্স। শেষ ২৫ মিনিটে একের পর এক আক্রমণ করলেও প্লাজা-চার্লসের ব্যর্থতায় একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে অবশ্য কাটসুমির কর্নার থেকে গোল করে দলের মান রাখলেন উইলিস প্লাজা। এনে দিলেন দলকে তিনটি মূল্যবান পয়েন্ট।
[এক ক্যালেন্ডারে ১৮ জন ক্রীড়াবিদের নগ্ন ছবি! এমন জিনিসের মালিক হতে চান?]
এদিন জিতলেও ফরোয়ার্ডদের গোল খরা এবং বেহাল রক্ষণ নিয়ে অবশ্যই চিন্তায় রাখবে খালিদ জামিলকে। তবে দীর্ঘদিন পর প্লাজার গোলে ফেরা অবশ্যই স্বস্তি দেবে। এতদিন দর্শকদের কাছে তিনি ছিলেন ভিলেন। কিন্তু এদিন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করে আজ তিনি নায়ক। আর অবশ্যই বলা উচিত লাল হলুদ মাঝমাঠের দুই কাণ্ডারী কাটসুমি এবং আমনার কথা। দু’জনেই এদিন সচল রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠকে। আর প্লাজার জোড়া গোলের জন্য অর্ধেক কৃতিত্ব অবশ্যই পাওনা জাপানি মিডিওর। তবে এই জয়কে দূরে ঠেলে দ্রুত রক্ষণের ভুল শোধরানোই এখন খালিদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
[চোরদের হাত থেকে রেহাই পেলেন না নেইমারও, খোয়া গেল জার্সি]
The post খলনায়ক থেকে নায়ক প্লাজা, শেষমুহূর্তের গোলে চার্চিল জয় ইস্টবেঙ্গলের appeared first on Sangbad Pratidin.