সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন। এবার একে অপরকে লক্ষ্য করে লাগাতার মিসাইল হামলা চালাল ইজরায়েল এবং হেজবোল্লা। একটি বিবৃতি জারি করে লেবাননের জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, ইজরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৩২০টি কাতইউসা রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে লেবাননের হামলার খবর পেয়ে আগে থেকেই সতর্ক ছিল তেল আভিভ। রবিবার ভোর থেকেই হেজবোল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে আত্মরক্ষামূ্লক রকেট হামলা চালিয়েছে তারা।
এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধের আবহ। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও ছায়াযুদ্ধ নয়, সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করা হচ্ছে, পুরোদস্তুর লড়াই বাঁধল বলে। ইরানের পাশে রয়েছে হামাস ও হেজবোল্লার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীও। এহেন পরিস্থিতিতে একটি বিবৃতি জারি করে ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনটি জানায়, ইজরায়েলে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করেছে তারা। ইজরায়েলের একাধিক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ৩২০টি রকেট ছুড়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: তফসিলি জাতিভুক্ত হওয়ার জোরাল দাবি পসমন্দা মুসলিমদের, কী করবে কেন্দ্র?]
তবে ইজরায়েলের তরফেও পালটা হামলা হয়েছে লেবাননে। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের তরফে বলা হয়, রবিবার ভোরবেলা হেজবোল্লার ডেরা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। যেহেতু হেজবোল্লার তরফে বড়সড় হামলার প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গিয়েছে তাই আত্মরক্ষার জন্যই আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তেল আভিভ। তবে ঠিক কী ধরণের হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। হেজবোল্লার ছোড়া রকেট যেন প্রতিহত করা যায়, তার জন্য বায়ুসেনার বিশেষ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত ইজরায়েলের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ। এছাড়াও ইজরায়েলের আয়রন ডোম প্রযুক্তির মাধ্যমেও হেজবোল্লার আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।
এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। আংশিকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ইজরায়েলের বেন গুরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে।