সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেও পাকিস্তানে থামছে না হিন্দু নির্যাতন। এবারও শিরোনামে সেই সিন্ধ প্রদেশ। অভিযোগ, করিনা নামের এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। এবং সব জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার সিন্ধ প্রদেশের নবাবশাহ অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখান হিন্দুরা। সেখানে প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জরদারির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ৬ জুলাই কাজী আহমেদ শহরে অপহৃত হয় ১৬ বছরের করিনা। তাকে জোর করে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানানো হলেও বহাল তবিয়তে আছে অভিযুক্ত খলিল রহমান জানো ও তার পরিবার। পালটা পুলিশই নাকি দাবি করেছে, করিনা স্বেচ্ছায় খলিল রহমান জানোর সঙ্গে পালিয়ে করাচির একটি আদালতে বিয়ে করেছে।
[আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণের প্রতিবাদ, পাকিস্তানের একাধিক শহরে বিক্ষোভ সংখ্যালঘু হিন্দুদের]
এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বক্তব্য, করিনার বাবা সুন্দরমলের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত খলিল রহমানের বাবাকে আসগর জানোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই অঞ্চলের এসএসপি করিনার বিয়ের একটি সার্টিফিকেট দেখিয়ে দাবি করেছেন, দ্রুত তাকে সিন্ধ হাই কোর্টে পেশ করা হবে। সেখানে করিনা নিজেই ঠিক করবে সে কোথায় বা কার সঙ্গে যেতে চায়। এদিকে, পুলিশের সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সিন্ধ প্রদেশে হিন্দু পঞ্চায়েতের সহ-প্রধান লাজপত রাই। পালটা তাঁর অভিযোগ, দেখা করে অভিযোগ জানাতে গেলে ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁদের কোনও কথা শোনেননি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নতুন ঘটনা নয়। বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনার খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। কখনও সেখানে হিন্দুদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, কখনও আবার মহিলাদের উপর হয় অকথ্য নির্যাতন। বাদ পড়েনি শিশুরাও। গত মার্চ মাসে ১৮ বছরের তরুণী পূজা কুমারীর মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয় পাকিস্তান (Pakistan)। সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই হিন্দু তরুণীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপর তাঁর দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। অভিযোগ, ওয়াহিদ বক্স লাশারি নামের অভিযুক্ত পূজাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়াতেই সে খুন করে ওই তরুণীকে।