সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নববর্ষে নিজে নিত্যনতুন সাজে ধরা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ির মেকওভারও কিন্তু প্রয়োজন। কারণ এইসময়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে গেট টুগেদার লেগেই থাকে। অতঃপর অগোছালো ঘর নৈব নৈব চ! অনেকেই মনে করেন, ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ। বিষয়টা সেরকম নয়। এখানে প্রয়োজন শুধু বুদ্ধি আর উপযুক্ত প্ল্যানিংয়ের।
সময় এগিয়েছে, এখন হাইটেক যুগে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। হাতে সময়ের ঘাটতি বলে কি আর ঘর পরিষ্কার করা হবে না? নো চিন্তা! ঘর সাজানোকে সহজ করে ফেলুন। কীভাবে? রইল টিপস।
১) ঘরের বাড়তি জিনিস বাতিল করুন প্রথম দিন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ঘরের জায়গা দখল করে। অনেক সময় বাচ্চাদের খেলনা মেঝেতে পড়ে থাকে। এগুলো স্মৃতি হিসেবে রাখতে না চাইলে কাউকে দিয়ে দিতে পারেন বা ফেলে দিন।
২)অনেকেই ঘর রং করান এইসময়ে। তবে ম্যাজিকের মতো ভোলবদল করতে চাইলে, ড্রয়িং রুম বা যে কোনও ঘরের একটা দেওয়াল শুধু রং করে দিন। বাজার চলতি অনেক প্যাটার্ন পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে এনে নিজেই ট্রাই করতে পারেন।
৩) সেই দেওয়ালজুড়ে হাসিমুখের ফটোফ্রেম থাক। বা নানা ধরনের ওয়াল হ্যাঙ্গিং পাওয়া যায় আজকাল। সেগুলোও লাগিয়ে দিতে পারেন।
৪) গৃহসজ্জার ক্ষেত্রে পর্দা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের রং হালকা হলে একটু রংচঙে পর্দা লাগিয়ে দিন এইসময়ে। তাহলে একঘেয়ে ঘরের সাজে নতুনত্ব আসবে। জুটের পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন। নানা রঙের পাটদড়ি পাওয়া যায় বাজারে, সেগুলোও পর্দার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। দারুণ রংচঙে সাজসজ্জা হবে। তবে খেয়াল রাখবেন বেশি রঙের সমাবার হলেই কিন্তু তাল কাটবে।
ছবি: সংগৃহীত
৫) ঘর সাজাতে কার্পেট, পাপোসও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বড় ঘর হলে সেখানে দিব্যি জমকালো একটা কার্পেট মানিয়ে যাবে। বসে আড্ডা দেওয়া যাবে, সেরকম দেখেও কিনতে পারেন। কিংবা আড্ডার জায়গায় একটা মোটা তোষকের উপর একরঙের চাদর বিছিয়ে দিন। তাতে রকমারি ডিজাইনের কুশন ছড়িয়ে দিন। দারুণ মানাবে।
৬) এবং সবশেষে বলি, বাড়িতে একটু তাজা ফুল সাজিয়ে রাখুন। সারা ঘরে সুগন্ধী ছড়িয়ে দিন। দেখবেন ব্যস্ত শিডিউল থেকে বেরিয়ে নববর্ষে মনটাই ফ্রেশ হয়ে যাবে বাড়িতে বসে।