দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর কিডনি বের করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির ভদ্রেশ্বরে। পুলিশি হস্তক্ষেপে দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি হাসপাতালের।
মৃতার নাম রুবিয়া খাতুন(৫৫)। বাড়ি হুগলির (Hooghly) ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার সেগুন বাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হওয়ায় রুবিয়াকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করে পরিবার। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তরফে মৃতের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দেহ। রবিবার কবর দেওয়ার আগে কিছু ধর্মীয় রীতি পালন করার সময় হঠাৎই পরিবারের নজরে আসে মৃতার পেটে কাটা চিহ্ন। এরপরই রীতিমতো ক্ষোভে পেটে পড়েন আত্মীয় পরিজনরা। অভিযোগ করেন, মৃতার শরীর থেকে কিডনি (Kidney) বের করে নিয়েছে হাসপাতাল। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতাকে কবর না দিয়ে পরিবারের লোকজন বিচারের দাবিতে সরব হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ভাঙা হাতের ছবি ব্যবহার করে রাজ্যপালকে খোঁচা? উদয়ন গুহর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক]
এরপর ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশই বিষয়টি নিয়ে চন্দননগর হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতাকে স্যালাইন দেওয়ার জন্য চ্যানেল করার সময় হাতের শিরা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারণে পেটে চ্যানেল করে স্যালাইন দিতে হয়েছিল। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি বুঝতে পারেন মৃতার পরিবারের লোকজনেরা। বিকেলের দিকে দেহ কবর দেওয়া হয়।