সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়করের পর এবার সিবিআই। একের পর এক দুর্নীতির মামলায় বেজায় বিপাকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে একটি নতুন দুর্নীতির মামলা রুজু করেছে সিবিআই। লালু ছাড়াও অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, পুত্র তেজস্বী যাদব, IRCTC-র (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং এন্ড টুরিজম কর্পোরেশন) প্রাক্তন প্রধান পিকে গোয়েল ও সরলা গুপ্ত নামের লালুর এক আত্মীয়ের। তারই প্রেক্ষিতে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। জানা গিয়েছে, দিল্লি, পাটনা, রাঁচি, পুরী ও গুরগাঁও-সহ ১২টি জায়গায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকরা। এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বয়ান দেননি লালু।
ANI সূত্রে খবর, রেলমন্ত্রী থাকা কালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে একটি ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন লালু। ২০০৬ সালে ‘বিএনআর হোটেলস’ অধিগ্রহণ করে ভারতীয় রেল। তখন রেলমন্ত্রীর আসনে লালু। অধিগ্রহণের পর বিএনআর হোটেলসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। অভিযোগ, সে বছরই প্রভাব খাটিয়ে সুজাতা হোটেল নামের একটি ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেন আরজেডি প্রধান।
প্রসঙ্গত, জুন মাসে আয়বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় যাদব পরিবারের এক ডজন জমি এবং সম্পত্তি ‘অ্যাটাচ’ করে আয়কর বিভাগ। লালুর স্ত্রী রাবড়ি, ছেলে তথা বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী, মেয়ে মিসা, জামাই শৈলেশের সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হয়। ‘অ্যাটাচ’ হওয়া বেআইনি সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। ঠিক তার আগেই মে মাসে, লালুর বিপদ বাড়িয়ে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে লালুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাঁচির একটি আদালতে হাজিরা দিতে পৌঁছান লালু। তবে সিবিআই হানা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
[‘খারাপ সময়’ কাটাতে বাস্তু ও তন্ত্রের দ্বারস্থ লালুর ছেলে]
The post আয়করের পর সিবিআই হানা, চরম বিপাকে লালু appeared first on Sangbad Pratidin.