সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর – দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে হেঁটে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় নেমেছে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস (Congress)। সমমনোভাবাপন্ন সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই তারা এই দীর্ঘ যাত্রায় শামিল করতে চায়। সেই মর্মে রাহুল গান্ধী তৃণমূল (TMC)-সহ একাধিক দলকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। তৃণমূল তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। এবার বাংলায় ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন বামপন্থীদের আহ্বান জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। যদিও সেই আহ্বানে সিপিএম বা অন্যান্য বাম দলগুলি অংশ নেবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেননি বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা। তবে এনিয়ে তৃণমূলের খোঁচা, ‘কংগ্রেস তো সিপিএমের কোলে ঢলে পড়ছে।’
সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক-সহ বেশিরভাগ বাম শরিকদলকেই ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) শামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রসঙ্গত, বঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়েছে কাকদ্বীপ থেকে, শেষ হবে কার্শিয়াংয়ে। অধীর চৌধুরীর অনুরোধ, আগামী সপ্তাহে কার্শিয়াংয়ে যাত্রা শেষের সময় যেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম-সহ বাম দলের নেতারা যোগ দেন। কংগ্রেসের এই আমন্ত্রণে সাড়া দেবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি আলিমুদ্দিনের অন্দরে। শনিবারও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) জানিয়েছেন, ”আমরা সমস্ত শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছব।” শরিকরাও স্বভাবতই চুপ।
[আরও পড়ুন: ২৪-এ গুরুত্বপূর্ণ হবে আঞ্চলিক দলগুলি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন মমতা: অমর্ত্য সেন]
তবে বাংলা থেকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানায়নি কংগ্রেস। এ নিয়ে দলের সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, ”আমন্ত্রণ করলেও যেতাম না।” ভারত জোড়ো ঘিরে কংগ্রেস-সিপিএমের নতুন করে ঘনিষ্ঠতাকে বাঁকা নজরে দেখছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ প্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রতিক্রিয়া, “কংগ্রেস তো সিপিএমের কোলে উঠে পড়ছে প্রায়। তৃণমূলকে হারাতে এখানে জোট করেছে। ত্রিপুরায় এতদিনকার রাজনৈতিক শত্রু, তবু সেখানেও জোট করেছে। ওদের আলাদা অস্তিত্ব নেই। এসব করলে মানুষের সাড়া মিলবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষকে ভালবাসি’, ঝরঝরে বাংলায় বললেন শত্রুঘ্ন সিনহা! কেন জানেন?]
ভারত জোড়ো যাত্রায় হেঁটে ভেঙে যাওয়া দলকে কতটা জুড়তে পারবেন রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরীরা – তা জানা নেই। তবে এই কর্মসূচি যে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাতায় বহু আলোচনা-সমালোচনার এক অধ্য়ায় হয়ে থাকবে এবং ভোট রাজনীতিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে, তা বলাই বাহুল্য।