সুব্রত বিশ্বাস: যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনই বিপত্তি। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে হাওড়ার ফেরার পথে বিকল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দু’ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেমি হাই স্পিড ট্রেনটি। নিভে গিয়েছে কামরা আলো। চলছে না এক্সপ্রেসের এসিও। ফলে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার যাত্রীরা।
রেল সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্যই মাঝপথে বিকল হয়ে পড়ে বন্দে ভারত। বিকেল ৪টে ৪৮ মিনিট নাগাদ আচমকা ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে শুরু করে। ট্রেনটি তখন দুলাখপাটনা ও মঞ্জুরী রোড স্টেশনের মাঝে বৈতরণী নদী পার হচ্ছিল। তখনই একটি গাছের ডাল ওভারহেডের তারে পড়ে। যার জেরে তার ছিঁড়ে যায়। ভেঙেচুরে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনের উইন্ডস্ক্রিনও। ফলে সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত। এরপর রেল কর্মীরা মেরামতির কাজ শুরু করেন। জানা গিয়েছে, সন্ধে ৭টা নাগাদ ফেরে বিদ্যুৎ।
[আরও পড়ুন: জামার পকেটে রাখা মোবাইলে বিস্ফোরণ! দাউ দাউ আগুন বৃদ্ধের গায়ে, তারপর যা ঘটল]
ঝড়ে বিধ্বস্ত হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেসের (Howrah-Puri Vande Bharat) আলো সমস্ত কামরার আলো নিভে যায়। বন্ধ হয়ে যায় এসিও। ফলে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অনেকেই ফেসবুক লাইভে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কিন্তু রেলের তরফে তাঁদের জন্য বিকল্প ট্রেনের বন্দোবস্তও করা হয়নি। ফলে অন্ধকার ট্রেনের মধ্যেই সময় কাটছে যাত্রীদের। সময় কম লাগবে বলেই অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এই এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেছিলেন তাঁরা। অথচ ঝড় উঠতেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাঁদের।
এ রাজ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পিছু ছাড়ছেন বিপত্তি। হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর পরই একের পর এক পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। এবার হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত চলা শুরু করার দ্বিতীয় দিনেই বিঘ্নের মুখোমুখি পড়ল ট্রেনটি। জানা গিয়েছে, পরে ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেনটিকে হাওড়া আনার ব্যবস্থা করা হয়। এই বিপত্তির জেরে সোমবার আপ ও ডাউন হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত বাতিল করা হয়েছে।