সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর পাশ-ফেল প্রথা ফিরতে চলেছে। ক্লাস ফাইভ ও এইটে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের ইঙ্গিত তেমনই। কলকাতায় এসে তিনি জানিয়েছেন এর জন্য লোকসভার চলতি অধিবেশনে আইন সংশোধন হবে। সংশোধিত আইনে অনুত্তীর্ণদের আরও একবার সুযোগ পাবে। দ্বিতীয়বার ফেল করলে পরীক্ষার্থীকে থাকতে হবে পুরনো ক্লাসে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মেনেছেন অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। এর সমাধানে আগামী বছর থেকে একটি প্রশ্নপত্র বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হবে।
[রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া হাওড়ায়, মায়ের পচা-গলা মৃতদেহ আগলে বসে ছেলে]
মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইউপিএ-২ সরকারের সময় পাশ-ফেল তুলে নেওয়া হয়েছিল। তখন ঠিক হয়েছিল শিক্ষার অধিকার আইনে কোনও পড়ুয়াকে ক্লাস এইট পর্যন্ত ফেল করানো যাবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর চাপ কমাতে এককালীন পরীক্ষা না নিয়ে ধারাবাহিক এবং নিরবচ্ছিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নের কথা বলা হয় কেন্দ্রীয় আইনে। বিস্তর সমালোচনার মধ্যেও ওই নিয়ম চালু হয়েছিল। একাধিক রাজ্য এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে। এরাজ্যেও পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়। একাধিক সংগঠন-এর পাশ-ফেল প্রত্যাহারে সওয়াল করে। নানা মহলের আবেদনে পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারও তোড়জোড় শুরু করে। অবশেষে কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী জানালেন পাশ-ফেল ফিরছে। কবে ফিরছে। এই প্রশ্নের উত্তরে প্রকাশ জাভড়েকর রাজ্যের দিকে বল ঠেলেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন বিষয়টি নির্ভর করছে রাজ্যগুলির ওপর। এর জন্য বাদল অধিবেশনে আইন সংশোধন করা হবে। পাশ-ফেল ফিরলেও, সংশোধনীতে অনুত্তীর্ণদের আরও একটি সুযোগ দেওয়া হবে। ঠিক হয়েছে প্রতি বছরের মার্চ মাসে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তখন যারা ফেল করবে তাদের মে মাসে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে না পারলে, পরীক্ষার্থীকে পুরনো ক্লাসে থাকতে হবে।
[ধর্মান্তরিত না হলে কেটে ফেলা হবে হাত-পা, হিন্দু লেখককে ফতোয়া মৌলবাদীদের]
পাশ-ফেল ফেরানো নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় অনুত্তীর্ণদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের পক্ষে সওয়াল করেছিল রাজ্য। এদিকে মেডিক্যালে অভিন্ন প্রবেশিকায় বিভ্রান্তির কথা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন এবার থেকে প্রশ্নপত্র বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হবে। মেডিক্যালের ধাঁচে অভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং আগামী বছর থেকে হবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে মেডিক্যালের সাফল্যের ওপর নির্ভর করছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভবিষ্যত।