সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করছে কঙ্গনা রানাউত ও রাজকুমার রাওয়ের ছবি ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’। কিন্তু ছবির পোস্টার নাকি টোকা। এমনই দাবি করেছে হাঙ্গেরির এক ফোটোগ্রাফার। তাঁর নাম ফ্লোরা বরিস। ফেসবুকে তিনি তাঁর কাজ ও ছবির পোস্টার শেয়ার করেছেন। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে পোস্টার টোকার উদাহরণ কম নেই। এর আগে বহু বিদেশি ছবি থেকে ভারতীয় ছবির পোস্টার টোকা হয়েছে। কিন্তু কেউ সরাসরি এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ অভিযোগ তুলেছে কিনা সন্দেহ।
[ আরও পড়ুন: বড়পর্দায় ফের ধামাকা, ‘প্রস্থানম’-এ রাজনীতিকের চরিত্রে ধরা দিলেন সঞ্জুবাবা ]
ছবির পোস্টার শেয়ার করে ফ্লোরা ফেসবুকে লিখেছেন, “এটি বলিউডের বিখ্যাত ছবি ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’র পোস্টার। তারা কোনও অনুমতি নেয়নি, আমাকে জিজ্ঞাসাও করেনি। কোনও ফ্রিল্যান্স আর্টিস্টের কাজ বড় কোম্পানিগুলির চুরি করা লজ্জাজনক।” সোশ্যাল সাইটে এনিয়ে ঝড় উঠেছে। টুইটারে এক ব্যক্তি একতা কাপুর ও কঙ্গনা রানাউতকে লিখেছেন, “তাঁদের সাম্প্রতিক ছবি ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’ ভাল ব্যবসা করছে। কিন্তু কোনও ফোটোগ্রাফারের কাজ তাঁকে না বলে চুরি করা লজ্জাজনক।” অন্য একজন লিখেছেন, এর জন্যও হয়তো কঙ্গনা হৃতিককে টেনে আনবেন। ঘটনার পর অনেকে ফ্লোরাকে আইনি পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। কিন্তু এনিয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে খবর নেই।
‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’র মধ্যমণি ববি। কেশবকে তাঁর খুব সাধারণ লাগে। এতটাই সাধারণ যে তাঁকে বিস্মিত করে তোলে। এত সাধারণও মানুষ হতে পারে! এই সন্দেহ ববির মনে দানা বাঁধতে না বাঁধতেই শহরে খুনের ঘটনা ঘটে যায়। তার রহস্য সমাধানে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে, ববি বা কেশব – এই দু’জনের মধ্যেই কেউ খুনি৷ কিন্তু কে? ববি একেবারেই গতানুগতিকতার বাইরে। এদিকে, কেশব এতটাই গতানুগতিক যে সে খুন করতে পারে, সেটা অস্বাভাবিক। আর এখানেই ববির সন্দেহ। তার মতে কেশব এমন এক ব্যক্তি যে অনায়াসে পুলিশকে ঘোল খাওয়াতে পারে। তাই সে খুন করলে পুলিশ বুঝতেও পারবে না। এদিকে কেশবের তুরুপের তাস ববির অস্বাভাবিকতা। শাটল ককের মতো এদিক-ওদিক করতে থাকে পুলিশ। এভাবেই এগিয়েছে ছবি।
[ আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পাচার হয়ে যাওয়া মহিলাকে দেশে ফেরালেন সাংসদ সানি দেওল ]
The post টোকা হয়েছে ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’র পোস্টার, অভিযোগ হাঙ্গেরির ফোটোগ্রাফারের appeared first on Sangbad Pratidin.