স্টাফ রিপোর্টার: অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধরের পর মাথা ন্যাড়া করে দিল স্বামী৷ জখম স্ত্রী আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ স্ত্রীর অভিযোগের জেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
অমানবিক ও বর্বোরোচিত এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের দত্তপাড়ায়৷ অভিযুক্ত স্বামীর নাম বাপী মণ্ডল৷ বাড়ি বারুইপুরের সীতাকুণ্ডুতে৷ স্ত্রী আলপনার বাড়িও বারুইপুরের কল্যাণপুরে৷ বারুইপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনেরই তৃতীয় বিয়ে৷ আলপনার আগের পক্ষের সন্তান নিয়েই বাপীর সঙ্গে ভাড়া ঘরে সীতাকুণ্ডুর বাড়ি ছেড়ে এসে দত্তপাড়ায় ভাড়া থাকত৷ মাস ছয়েক আগে মুম্বইতে চাকরি করতে যান বাপী৷ আলপনা সন্তানকে নিয়ে একাই থাকতেন দত্তপাড়ায়৷ দিন দুই আগে মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরেন বাপী৷
পুলিশের কাছে ধৃত বাপী দাবি করেছে, “বাড়ি ফেরার পর আলপনার আচরণে সন্দেহ হয়৷ দেখা যায় লুকিয়ে অন্য কোনও ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে মাঝে মধ্যেই গল্প করছে৷ জানতে চাইলে এড়িয়ে যায়৷” অন্যদিকে পুলিশকে আলপনা সোমবার সন্ধ্যায় এফআইআর করে জানায়, বাড়ির লোকের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় মিথ্যা অভিযোগে চড়াও হয়৷ মারধর করে৷ প্রতিবেশীরা প্রথমে থামিয়ে দিলেও পরে ফের ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে৷ মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়৷ এফআইআর-এ আলপনা দাবি করে, খুনের চেষ্টা করেছিল বাপী৷ এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বাপী ও আলপনা নিজেদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক অশান্তিতে জড়িয়ে থাকত৷ পুলিশে অভিযোগ আসতেই ফেরার বাপীর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে৷ মঙ্গলবার দুপুরে বারুইপুরের মদারাট কালীতলা থেকে বাপীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ধৃত যুবককে বুধবার জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে বারুইপুর আদালতে পাঠাচ্ছে পুলিশ৷
The post পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে ন্যাড়া করল স্বামী appeared first on Sangbad Pratidin.