গুজরাত লায়ন্স – ১৬২/৭ (ফিঞ্চ ৫০, ম্যাকালাম ৩২)
সানরাইরার্জ হায়দরাবাদ – ১৬৩/৬ (ওয়ার্নার ৯৩*)
৪ উইকেটে জয়ী সানরাইরার্জ হায়দরাবাদ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট৷” কথাটিকে আজ আক্ষরিক অর্থে সত্য প্রমাণ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার৷ নবম আইপিএল-এর শুরু থেকে দলই তাঁর ধ্যান, দলই তাঁর জ্ঞান৷ একটাও ম্যাচে গা-ছাড়া মনোভাব দেখাননি তিনি৷ আর সেই লড়াকু মানসিকতাই আজ ফাইনালের দরজা খুলে দিল৷ তাঁর ক্যারিশমায় লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে-অফে পৌঁছনো গুজরাতও ফ্যাকাসে হয়ে গেল৷
অন্য নামে এই শহরে আগেও আইপিএল ট্রফি ঢুকেছে৷ তবে নতুন করে সেজে ওঠা হায়দরাবাদ প্রথমবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছল৷ যার ৯০ শতাংশ কৃতিত্ব ওয়ার্নারেরই প্রাপ্য৷ কিন্তু অজি তারকা তা নিতে নারাজ৷ হাসি মুখে বলে দিচ্ছেন, “এটা দলগত খেলা৷ আমি একা কৃতিত্ব নিতে পারি না৷ সবাই ভাল খেলেছে বলেই এতদূর পৌঁছতে পেরেছি৷ বিশেষ করে বোলাররা আজ দারুণ বল করেছে৷” ৩ টে ছয় ও ১১ টা চার হাঁকিয়ে ৫৮ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংসটাকে বর্ণনা করতে শব্দের ঘাটতি পড়বে৷ ‘অনবদ্য’, ‘দর্শনীয়’তে ঠিক ইনিংসটার ছবি আঁকা যাবে না৷ এমনই একটা ইনিংস খেলে দলকে প্লে-অফের প্রথম রাতেই ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন ডেভিলিয়ার্স৷ তাহলে বুঝতে আর বাকি থাকে না, যে ফাইনালের লড়াইটা
কতটা হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে! এদিন শেষ রানটা নেওয়া মাত্র হাতে ধরা হেলমেটটা আকাশের দিকে ছুঁড়ে আনন্দে লাগিয়ে উঠলেন৷ তবে অতটুকুই৷ তারপরই সেই শান্ত স্বভাবের চেনা ওয়ার্নারকেই পাওয়া গেল৷
দাড়িপাল্লায় এদিনের ম্যাচকে মাপলে দুই দলই সমান টক্কর দিয়েছে৷ কখনও ম্যাকালাম, ফিঞ্চের ব্যাটে ভর করে গুজরাত এগিয়ে গিয়েছে, তো আবার ম্যাচের শেষভাগে অসম্ভবকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন ওয়ার্নার৷ তবে প্রথমবার নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এতটা টেনে আনার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য রায়নারও৷
রবিবার ফাইনাল হয়ে উঠল অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারতের লড়াই৷ বিরাটের আগ্রাসন বনাম ওয়ার্নারের ঠান্ডা মাথা৷ আবার যুবরাজের প্রথমবার আইপিএল জয়ের খিদে বনাম এবি ডেভিলিয়ার্সের ঐশ্বরিক ব্যাটিংয়ের লড়াই দেখতেও মুখিয়ে থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা৷