সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনমুখী মহারাষ্ট্রে মারাঠা অস্মিতায় আঘাত। সিন্ধুদুর্গে শিবাজি মূর্তির পতন আসলে মূর্তি নয়, সরকার পতনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। জং ধরা নাট বল্টু, মরচে পড়া ইস্পাতে তৈরি শিবাজির মূর্তি ভেঙে পড়ায় দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা। এই পরিস্থিতিতে 'বিপর্যয় মোকাবিলা'য় নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক জনসভায় উপস্থিত হয়ে মোদি জানালেন, সিন্ধুদুর্গে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য শিবাজির পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী তিনি।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পালঘরে এক জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সম্প্রতি সিন্ধুদুর্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আমার ও আমার বন্ধুদের কাছে শুধু একটি নাম নয়। আমাদের কাছে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ পূজনীয় এক ব্যক্তিত্ব। যা ঘটেছে তার জন্য আমি নত মস্তকে শিবাজি মহারাজের কাছে ক্ষমা চাইছি।"
[আরও পড়ুন: ‘৪৭ শতাংশ বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন’, প্রতিবন্ধকতাকে ‘অস্ত্র’ করে চাকরি ফেরাতে মরিয়া পূজা]
একইসঙ্গে সাভারকর ইস্যুতে বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে মোদি বলেন, "যা ঘটেছে তার জন্য আমি নতমস্তকে আমার ঈশ্বর ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাদের মূল্যবোধ আলাদা, কিন্তু আমরা ওদের মতো যে কোনও দুর্ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দিয়ে আক্রমণে বিশ্বাসী নই। তবে এই মহারাষ্ট্রে কিছু মানুষ রয়েছেন যারা এই মাটিতে জন্ম নেওয়া ভারত মায়ের বীর সন্তান বীর সাভারকরকে অপমান করছে। তাঁরা ক্ষমা চাইতে রাজি নয়, বরং আদালতে লড়তে প্রস্তুত।"
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে বেশি পড়ুয়া আত্মহত্যার হার! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট]
উল্লেখ্য, মাত্র ৮ মাস আগে ঢাকডোল পিটিয়ে যে মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সোমবার ভূপতিত হয়েছে ৩৬০০ কোটির সেই বিশাল শিবাজি মূর্তি। মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদূর্গ জেলায় এই মূর্তি ভাঙার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে মারাঠা রাজনীতি। অভিযোগ উঠেছে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল মূর্তিতে। ব্যবহৃত হয়েছিল জং ধরা ইস্পাত ও মরচে পড়া নাট বল্টু। ইঞ্জিনিয়রদের আপত্তি কানে তোলা হয়নি। যার জেরেই এই দুর্ঘটনা। ঘটনার তদন্তে নেমে ঠিকাদার-সহ একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে নির্বাচনের আগে মারাঠা অস্মিতায় এই আঘাত যে ভোটবাক্সে গুরুতর আকার নিতে পারে তা টের পেয়েই এবার ক্ষমা চেয়ে মাঠে নামলেন খোদ মোদি।