স্টাফ রিপোর্টার: ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল আই লিগ খেলা ক্লাবগুলি। সেই প্রশ্নগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আই লিগ খেলা ন’টি দল কোমর বেঁধে নেমে পড়ল চেন্নাইতে। সুপারকাপ খেলবে না বলে আগেই যেমন চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে আই লিগে জোট বাঁধা দলগুলি। এবার আগামিদিনে ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপও তারা তৈরি করে ফেলল। বুঝিয়ে দিতে চলেছে, ভারতীয় ফুটবলকে কোন পথে নিয়ে গেলে উন্নতি করা সম্ভব।
আজ চেন্নাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটির হাতে ট্রফি তুলে দিল ফেডারেশন। সেরা ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ প্রত্যেকের নাম ঘোষণাও করা হয়েছে। এসবই হল রুটিন মাফিক ঘটনা। কিন্তু ব্যতিক্রম হয়ে থাকল আই লিগে খেলা প্রতিটি দলের উপস্থিতি। এর আগে কখনও আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার সময় এভাবেই প্রতিটি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেনি। আসলে ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে চেন্নাইয়ের হোটেলে গিয়ে আই লিগ খেলা ক্লাবের ন’টি দলের প্রতিনিধিরা সভায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যে সভার মুখ্য আলোচ্য বিষয় ছিল, আই লিগ এবং আইএসএলকে এক করে ভারতীয় ফুটবলের জনপ্রিয়তাকে বাড়ানো।
[সুপার কাপ খেলার দাবিতে অনড় ইস্টবেঙ্গল, কোয়েসকে সময় দেওয়া হল ৪৮ ঘণ্টা]
ক্লাবের প্রতিনিধিরা ঠিক করেছেন, ৩৬টা পেশাদার দলকে দু’টো ডিভিশনে ভাগ করা হবে। প্রতিটি ডিভিশনে ১৮টা করে দল খেলবে। রাখা হবে ‘প্রোমোশন’ ও ‘রেলিগেশন’ সিস্টেম। অর্থাৎ প্রতিটি ডিভিশন থেকে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক দল যেমন নামবে ঠিক তেমনি নিচের ডিভিশন থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক দল উঠে আসবে উপরের সারিতে। ফলে, খেলার মান যেমন বাড়বে, প্রতিযোগী দলগুলির মধ্যে ফুটে উঠবে জেদ ও বাড়তি আকাঙ্ক্ষা। রোডম্যাপে এও বলা হয়েছে, আই লিগের ক্লাবগুলির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হোক আইএসএলের দলগুলিকে। তাহলে সমপ্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটে উঠবে ভারতীয় ফুটবলে।
আইজল এফসি থেকে শুরু করে চার্চিল ব্রাদার্স, গোকুলাম, মিনার্ভা পাঞ্জাব, নেরোকা, রিয়েল কাশ্মীরের মতো দল যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি আছে কলকাতার দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। প্রতেকের সুর আপাতত এক। এখন দেখার বিষয় হল, ফেডারেশন আই লিগ খেলা জোটের বক্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। এমনিতেই ফেডারেশন সেভাবে চিঠির জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ১৮ ফেব্রুয়ারি ফেডারেশনকে পাঠানো চিঠিতে আই লিগের ক্লাবগুলি জানতে চেয়েছিল, এবারেই নাকি আইএসএল ও আইলিগ যোগ করে দেওয়ার পথ বাতলে দেবে এএফসি।
[স্পনসর আসবেই, বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের আশ্বস্ত করলেন মোহনবাগান সচিব টুটু বোস]
তাহলে সেই এএফসি এখন কী করছে? শুধু এই প্রশ্নই সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। ফেডারেশনের কাছে পাঠানো চিঠিতে আরও জানতে চাওয়া হয়েছিল এফএসডিএল ফেডারেশনের স্পনসর নাকি কর্মকর্তা? কারণ, এফএসডিএলএর আটজন প্রতিনিধিকে ফেডারেশনের বিভিন্ন কমিটিকে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চিঠিতে এও বলা হয়েছিল, যদি আই লিগ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে ফুটবলের পরিকাঠামো বিপন্ন হতে বাধ্য। এই চিঠি নিয়ে যখন ফুটবল মহল ছিল উত্তাল তখন ফেডারেশনের কর্তারা নিশ্চুপ থেকেছেন। সচীব কুশল দাস কিছুদিন আগে আই লিগের খেলা দলগুলির কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল কিছুদিনের মধ্যেই আইএসএল ও আই লিগ নিয়ে তোলা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেবেন। কিন্তু সেটা কবে?
The post কোন পথে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি সম্ভব, রোডম্যাপ তৈরি আই লিগের ক্লাবগুলির appeared first on Sangbad Pratidin.