মোহনবাগান: ২ (কিমকিমা, সোনি)
আইজল এফসি: ২ (মাওপুইয়া, ডেভিড)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনি নর্ডির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও ৩ পয়েন্ট এনে দিতে পারল না মোহনবাগানকে। ঘরের মাঠে আইজলের বিরুদ্ধে পয়েন্ট খুইয়ে লিগ লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়ল মোহনবাগান। যুবভারতীতে মোহনবাগানের প্রথম হোম ম্যাচ শেষ হলে ২-২ গোলে। শেষ মুহূর্তে আইজলের ডেভিডের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক, উৎসব মুখর মোহন সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিল।
[ঘরের মাঠে ফের ব্যর্থ এটিকে, এগিয়ে থেকেও বেঙ্গালুরুর কাছে হার]
প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে পাহাড় থেকে নিয়ে এসেছে ৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে দুর্বল গোকুলামের কাছে আটকে গিয়ে মোহনবাগানের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১ পয়েন্ট। স্বাভাবিকভাবেই, ঘরের মাঠে আইজলের বিরুদ্ধে নামার আগে বেশ চাপে ছিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধের খেলায় সেই চাপ চোখেও পড়ল। ডিকা-হেনরি-পিন্টু মাহাতোরা হাজার চেষ্টা করলেও আক্রমণভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়ল বেশ। যার সুযোগ নিয়েছিল আইজল। ম্যাচের ২৯ মিনিটে মাওপুইয়ার গোলে এগিয়ে যায় পাহাড়ি দলটি। ঘরের মাঠে আইজলের কাছে পিছিয়ে পড়ে আরও চাপে পড়ে যায় সবুজ মেরুন শিবির। তবে, বাগান সমর্থকদের চিন্তা কিছুটা কমান কিমকিমা। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে সেট পিস থেকে দুর্দান্ত গোল করে সমতা ফেরান এই ডিফেন্ডার।
[মোহনবাগানের আজীবন সদস্যপদ পেয়ে আপ্লুত চুনী-সৌরভরা]
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেও মোহনবাগান বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রথমার্ধের মতোই দ্বিতীয়ার্ধেও ফাইনাল-থার্ডে আটকে যাচ্ছিল বাগানের গতি। পরিস্থিতি বদলালো সোনির আগমনে। ৬০ মিনিটে মাঠে নামলেন, ৬৯ মিনিটে নিজের ট্রেডমার্ক আড়াআড়ি দৌড়ে বল জড়িয়ে দিলেন আইজলের জালে। সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল গোটা সবুজ-মেরুন শিবির। যাদের সোনির ফিটনেস, ক্ষীপ্রতা নিয়ে সংশয় ছিল, তাদের সব সংশয় মিটিয়ে এদিন তিনিই হিরো অফ দ্য ম্যাচ। কিন্তু সোনির এই নাটকীয় পারফরম্যান্সও জেতাতে পারল না মোহনবাগানকে। সব অঙ্ক বদলে দিলেন আইজলের ডেভিড। ইনজুরি টাইমে বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে দুর্দান্ত কার্লারে সবুজ-মেরুন জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। ফলে, দ্বিতীয় ম্যাচেও ৩ পয়েন্ট পেল না মোহনবাগান। দুই ম্যাচে আপাতত ২ পয়েন্টে শংকরলাল চক্রবর্তীর ছেলেরা। প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের থেকে ইতিমধ্যেই ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছেন তাঁরা। এই হতাশার দিনে মোহন সমর্থকদের একটাই সান্ত্বনা, তাদের প্রিয় সোনি নর্ডি আছেন সোনি নর্ডিতেই।