সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অত্যাধুনিক হাতিয়ার নাকি ‘উড়ন্ত কফিন’! সোভিয়েত জমানার মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলিকে নিয়ে বিতর্ক কিছু কম নয়। গতকাল, বৃহস্পতিবারও দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে একটি মিগ বিমান। ফলে ধাপে ধাপে এই জেটগুলিকে সরিয়ে আধুনিকীকরণের পথে হাঁটছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, একের পর এক দুর্ঘটনার জেরে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যেই একটি ‘মিগ-২১ বাইসন‘ (Mig-21) স্কোয়াড্রনকে বিদায় জানাতে চলেছে বায়ুসেনা। আর ২০২৫ সালের মধ্যেই সোভিয়েত জমানার এই সমস্ত ফাইটার জেটগুলিকে বাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, শ্রীনগরে মোতায়েন মিগ-২১ বিমানের ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রনটিকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তুলে নেওয়া হবে। বলে রাখা ভাল, ২০১৯ সালে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাক বায়ুসেনার পালটা হামলা রুখে দিয়েছিল এই ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রনই। মিগ-২১ বিমানে চড়েই পাকিস্তানে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।
[আরও পড়ুন: ১৭ বছর হলেই করা যাবে আবেদন! ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে নয়া ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজস্থানের বারমেরে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনায় দু’জন পাইলটেরই মৃত্যু হয়। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বায়ুসেনা। তবে ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, মিগ সিরিজের বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ‘ফ্লাইং কফিন’ তকমা পাওয়া এই বিমান চালাতে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে বহু পাইলটের। যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ার ইতিহাস রয়েছে বিমানগুলির। তবু বায়ুসেনায় পাইলটদের আজও দেশের অন্যতম পুরনো এই বিমানগুলিতে উড়ান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর আগে মিগ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সেনাকর্মীদের পরিবারের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, এই ধরনের দুর্ঘটনা-প্রবণ বিমানগুলিকে আর যেন বায়ুসেনায় না রাখা হয়। এবার ফের মিগ বিমান দুর্ঘটনা যেন সেই প্রশ্নই আবার তুলে দিয়ে গেল।