রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়, মুম্বই: বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে (ICC ODI World Cup 2023) বুধবার ভারত-নিউজিল্যান্ড (IND vs NZ) মহারণ ওয়াংখেড়েতে। সেই ম্যাচের উত্তাপ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। শেষ চারের লড়াইয়ের আগে ২২ অক্টোবর দুই দলের সাক্ষাৎ হয়েছিল ধরমশালায়। বাইশ গজের সেই যুদ্ধে নিউজিল্যান্ডকে (New Zealand) ৪ উইকেটে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। গোটা ম্যাচেই ভারতীয় দলকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল। ড্যারিল মিচেলের ১৩০ রান, রাচীন রবীন্দ্রর ৭৫ রানের ইনিংসের পরেও, মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ম্যাচ জেতানো ৯৫ রানের ইনিংস তো রয়েইছে। বাইশ গজের যুদ্ধে এই পারফরম্যান্সগুলো সবাই দেখেছেন। কিন্তু আগ্রাসী মেজাজে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার আগে কীভাবে নিজেদের তৈরি করে টিম ইন্ডিয়া? সেটাই ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিরুদ্ধে প্রথম সেমিফাইনালে নামার আগে খোলসা করলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠতেই হিটম্যান সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা এবার ধরমশালায় থাকার সময় মাঠের বাইরে একাধিক অ্যাক্টিভিটি করেছিলাম। ফ্যাশন শো-র আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ভিডিও কিন্তু সর্বসমক্ষে আনা হয়নি। তবে গোটা দল সেই সিক্রেট ফ্যাশন শো-তে অংশ নিয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: বোলিংয়ের সঙ্গে অনলাইন ফুড ডেলিভারিতেও ঝড় তুলছেন কুলদীপ!]
কিন্তু কেন সেই সিক্রেট ফ্যাশন শো-র আয়োজন করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট? প্রশ্নের জবাবে রোহিত বলেন, “বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই সেমিফাইনাল। সব ম্যাচেই চাপ থাকে। একবার মাঠে পা রাখলে চাপ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর তাই সতীর্থদের খোলা মনে রাখা খুব জরুরি। সবাইকে রিল্যাক্সড রাখাই আমাদের মূল্য উদ্দেশ্য।”
১৯৮৩ সালের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের সময়ে কপিল দেবের ভারতীয় দলের প্রতি কারও কোনও প্রত্যাশা ছিল না। তবে ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্ব শেষবার কাপ জয়ের আগে প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে উঠেছিল। এবারও বিরাট কোহলি-মহম্মদ শামিদের ঘিরে তেমনই আবেগ দেখা যাচ্ছে। যা টের পাচ্ছেন স্বয়ং ভারত অধিনায়কও। সেটা স্বীকারও করে নিলেন রোহিত।
তাই হিটম্যান বলছিলেন, “বিশ্বকাপ সব অর্থেই অন্য ধরনের এক প্রতিযোগিতা। চাপ তো থাকবেই। চাপের মধ্যেই পারফর্ম করতে হবে। আর আমরা তো অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকেই চাপের মুখে খেলেছি। প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ এসেছে। সতীর্থরাও লড়াই করেছে। কারণ ক্রিকেট খেলাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য।”
২০১৫ সালের পর ২০১৯। গত দুবার কাপযুদ্ধের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় ঘটেছিল টিম ইন্ডিয়ার। তবে এবার রোহিত ও তাঁর সতীর্থরা চাকা ঘোরাতে মরিয়া। সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় রয়েছে আসমুদ্রহিমাচল।