আফগানিস্তান: ৫৬ (আজমতুল্লাহ ১০, জ্যানসেন ৩-১৬, শামসি ৩-৬)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬০-১ (হেনড্রিক্স ২৯, মারক্রাম ২৩, ফারুকি ১-১১)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন সফরটা চলছিল রূপকথার মতো। সেমিফাইনালে এসে সেই স্বপ্নের উড়ান বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে আছড়ে পড়ল। 'চোকার্স' দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেন রশিদ খানরা। ফাইনালের হারটাও হল একতরফা ভাবে ৯ উইকেটে। এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবেন প্রোটিয়ারা।
বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup 2024) সেমিফাইনালে উঠলেও ব্যাটাররা শুরু থেকেই ভুগিয়েছে আফগানিস্তানকে। দুই ওপেনার ছাড়া মিডল অর্ডারের কোনও ব্যাটার গোটা টুর্নামেন্টেই নজর কাড়তে পারেননি। সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদের সুইং সহায়ক পিচে দুই ওপেনার ব্যর্থ হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আফগান ব্যাটিং বিভাগ। সেমিফাইনালের মতো মেগা ম্যাচে গুরবাজরা অল আউট হয়ে যান মাত্র ৫৬ রানে। হ্যাঁ পিচে সুইং ছিল, খানিকটা অপ্রত্যাশিত বাউন্সও ছিল। কিন্তু এমন কোনও জুজু ছিল না যে ৫৬ রানে অলআউট হয়ে যেতে হবে। গোটা আফগান ব্যাটিং বিভাগে দুই অঙ্কের রানে পৌঁছলেন মাত্র একজন। তিনি আজমতুল্লাহ ওমরজাই। তাঁর সংগ্রহ ১০। আর কেউ দশের গণ্ডিও পেরোননি। প্রোটিয়াদের হয়ে অনবদ্য বোলিং করেন শামসি (৩-৬), জ্যানসেন (৩-১৬), রাবাদা (২-১৪), নখিয়ারা (২-৭)।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ভারতীয় বৃদ্ধকে ঘুসি মেরে খুন, প্রকাশ্যে ভয়াবহ ভিডিও]
টার্গেট মাত্র ৫৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) বিশেষ বেগ পেতে হবে না বোঝাই গিয়েছিল। যদিও প্রথম তিন ওভার বল হাতে কার্যত আগুন ঝরান ফারুকি এবং নবীন উল হক। এর মধ্যে ডি'ককের উইকেটও তুলে নেন ফারুকি। কিন্তু মাত্র ৫৬ রানের পুঁজি নিয়ে অন্তত সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষকে বেগ দেওয়া যায় না। আফগানরাও পারেননি। মাত্র ৮ ওভার ৫ বলে ১ উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকস ২৯ এবং এইডেন মারক্রাম ২৩ রান করেন।
[আরও পড়ুন: আমেরিকায় ভারতীয় বৃদ্ধকে ঘুসি মেরে খুন, প্রকাশ্যে ভয়াবহ ভিডিও]
আফগানদের অনায়াসে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রোটিয়ারা। এই প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবে বিশ্ব ক্রিকেটে 'চোকার্স' তকমা পাওয়া দলটি। এর আগে বার দুই টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে আটকাতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আর আফগানিস্তান, হয়তো ফাইনাল খেলা হল না তাঁদের। কিন্তু যেভাবে অদম্য লড়াই করে শেষ চারে উঠেছিলেন রশিদ খানরা (Rashid Khan), সেটা বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরা থাকলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ যেভাবে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের মেলে ধরল, সেটা আরও অনেককে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়ে দেবে।