পর্তুগাল: ১ (নানি)
আইসল্যান্ড: ১ (বজারসন)
জোস র্যামিরেজ ব্যারেটো: ছোট বেলা থেকেই গল্পটা শুনতাম৷ ভারত দখল করার অভিপ্রায় নিয়েই কিছু পর্তুগিজ দস্যু জাহাজে চেপেছিল৷ এখন আমাদের যে জায়গাটার নাম স্যান্টোস, যেখানে ফুটবল সম্রাট থাকেন, সেখানে এসে জাহাজটা বিকল হয়ে গেল৷
শুরু থেকেই আইসল্যান্ডের উপর আক্রমণের রোলার চালানো শুরু রোনাল্ডোদের৷ দেখতে খারাপ লাগছিল না৷ কিন্তু আমার মনে হয়, এর জন্য পর্তুগালের যতটা না কৃতিত্ব, তার থেকেও বেশি ব্যর্থতা আইসল্যান্ডের৷ প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড বলেই এরকম আক্রমণের রোলার চালানো সম্ভব হয়েছে৷ প্রতিপক্ষ ইতালি, জার্মানি, কিংবা বেলজিয়াম হলেও আক্রমণের এতটা জায়গা পাবে না পর্তুগাল৷ প্রচুর আক্রমণে গেলেও মিডফিল্ড কিংবা ডিফেন্স আমার কখনই আহামরি লাগেনি৷
খবরেই দেখছিলাম, পেলে বলেছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ফুটবলার রোনাল্ডো৷ কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল থেকে একটু বেশি দৌড়দৌড়ি করা ছাড়া বিশেষ কিছু দেখলাম না সিআর সেভেনের৷ প্রথমার্ধেই আইসল্যান্ডে বক্সের উপর যে ভলিটা ঠিক ভাবে পায়ে বলে করতে পারলেন না, এরকম জায়গা থেকে রিয়ালের জার্সি গায়ে বহু গোল করেছে৷ গ্রুপ লিগে হল্যান্ডকে দু’দুবার হারিয়ে ইউরোর মূলপর্বেই আসতে দেয়নি আইসল্যান্ড৷ জায়ান্ট কিলার হতে পারে৷ কিন্তু রোনাল্ডো সেই ডিফেন্স ভাঙতে পারবে না, মানা যায় না৷ প্রথমার্ধেই বাঁ দিক থেকে ইনসাইড আউট সাইড দেখিয়ে ছোট বক্সের ভেতর ক্রস রেখেছিলেন রোনাল্ডো৷ হেড থেকে নানির নিশ্চিত গোল বাঁচালেন গোলকিপার হলডরসন৷ অবশ্য ডান দিক থেকে ক্রসে সেই গোলটা করে গেলেন নানিই৷ কিন্তু রোনাল্ডো কী করলেন? বক্সের উপর থেকে বশ কয়েকটা শট নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা৷ পরিচিত সেই ওভার স্টেপিংয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ঢুকে যাওয়া কোথায়? ক্লাবে ভাল৷ দেশে নয়৷ এই তকমাটা বোধহয় আর ঘোচাতে পারলেন না সিআর সেভেন৷ উল্টে বজারসন গোল করে বসলেন৷ ভিরিনহা তখন জায়গাতেই নেই৷ যেমন নিজের সুনামের জায়গায় নেই রোনাল্ডো৷ ফল যা হওয়ার তাই হল৷ প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল পর্তুগাল৷
The post পর্তুগালের প্রথম ম্যাচে হতাশ করলেন রোনাল্ডো appeared first on Sangbad Pratidin.