সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১ ডিসেম্বর বৃহৎ হায়দরবাদ পুরনিগমের ১৫০টি আসনের নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) খাস তালুক দখলে কোনওরকম কসুর করছে না বিজেপি। শনিবার দলের হয়ে ভোট প্রচারে হায়দরাবাদে সভা করলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সেখানে তিনি ফের একবার হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গটি তুললেন। এলাহাবাদ, ফৈজাবাদের যেমন নাম পরিবর্তন হয়েছে, হায়দরাবাদের কেন হবে না? এমনই মন্তব্য করেন আদিত্যনাথ। যদিও এর আগেও এধরনের মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
সভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়,‘‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, হায়দরাবাদের (Hyderabad) নাম পরিবর্তন করে ভাগ্যনগর রাখা হবে কি না? আমার জবাব–কেন হবে না! বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ফৈজাবাদের নাম বদলে অযোধ্যা রাখা হয়েছে, এলাহাবাদের নাম বদলে প্রয়াগরাজ করা হয়েছে। তাহলে কেন হায়দরাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর রাখা হবে না।’’ তাঁর এই বক্তব্যের পরই ফের একবার বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সমালোচনায় মুখর হয়েছেন নেটিজেনরাও।
[আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনের চাপে সুর নরম! চাষিরা চাইলেই বৈঠকে রাজি মোদি সরকার]
স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসকদলের আগ্রাসী মনোভাব খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু বৃহৎ হায়দরাবাদ পুরনিগমের (Greater Hyderabad Municipal Corporation) নির্বাচনের আগে চুড়ান্ত আগ্রাসী মনোভাবই দেখাচ্ছে বিজেপি। ভাবখানা এমন যেন যেভাবেই হোক, দক্ষিণের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ শহরের শাসনভার তাঁদের দখল করতেই হবে।
গতবার নির্বাচনে তেলেঙ্গানার শাসক টিআরএস ৯৯টি এবং আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) এআইএমআইএম ৪৪টি আসন পেয়েছিল। বিজেপি-টিডিপি জোট পেয়েছিল মাত্র ৪টি আসন। দুটি আসন গিয়েছিল কংগ্রেসের (Congress) দখলে। কিন্তু এবারে ছবি অন্য। বিজেপি প্রায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে এই পুরনিগম দখল করতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ছাড়া বিজেপির শীর্ষস্তরের সব নেতাই প্রচার সেরে ফেলেছেন হায়দরাবাদে। তেলেঙ্গানা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় সিং বেশ কিছুদিন ধরেই চার মিনারের শহরে ঘাঁটি গেড়ে পড়ে রয়েছেন। বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য প্রচারে গিয়ে হায়দরাবাদকে রোহিঙ্গা এবং পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের আস্তানা বলে তোপ দেগে এসেছেন। একই তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি। এরপর শুক্রবার প্রচারে গিয়েছিলেন জেপি নাড্ডাও।