সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপসর্গহীন করোনা (Coronavirus) রোগীর চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের (Ministry of AYUSH) জারি করা নির্দেশিকা ও চিকিৎসা পদ্ধতির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তথা আইএমএ (IMA)। COVID-19 প্রতিরোধের লক্ষ্যে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে আয়ুষ মন্ত্রক। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, হালকা উপসর্গ ও লক্ষণবিহীন রোগীদের চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের। পাশাপাশি করোনাকে দূরে রাখতে এবং শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে আইএমএ’র তরফে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে (Harsh Vardhan) তাঁর করা দাবির সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে ও সন্তোষজনক প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে।
আইএমএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘উনি (হর্ষ বর্ধন) ওঁর দেওয়া বিধানের সমর্থনে কিছু চিত্তাকর্ষক প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়েছেন। উনি স্বীকার করেছেন, এসবই অভিজ্ঞতালব্ধ প্রমাণ। অর্থাৎ পৃথক পৃথক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তা প্রতিষ্ঠিত। উনি বর্তমানের থেকেও ইতিহাস বলতে বেশি আগ্রহী। কেননা তিনি বলেছেন, আয়ুর্বেদ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভিত্তিকে স্থাপন করেছে।’’
[আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার, তবলিঘি ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমকে কটাক্ষ সুপ্রিম কোর্টের]
আইএমএ-র তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, করোনা রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষজনক প্রমাণ পাওয়ার পরেই কি আয়ুষের তরফে এমন দাবি করা হচ্ছে? যদি প্রমাণ মিলেও থাকে তবে তা কেমন? দুর্বল, মাঝারি না শক্তিশালী? প্রমাণগুলি জনসমক্ষে উন্মুক্ত করা উচিত। বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষণের জন্য তা ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।
সব মিলিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন করা হয়েছে। তার অন্যতম প্রশ্ন হল, এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজের মন্ত্রকের কতজন সদস্য নিজেরা এই পদ্ধতিতে তাঁদের চিকিৎসা করিয়েছেন? আইএমএ জানিয়েছে, যদি তাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী না দিতে পারেন, তাহলে প্রমাণ হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী টোটকাকে ওষুধ বলে দাবি করছেন। এবং পুরো বিষয়টিই হল দেশের সঙ্গে ছলনা।
[আরও পড়ুন: ‘লাদাখে দ্রুত পালটা দিতে তৈরি বাহিনী’, বায়ুসেনা দিবসে হুঙ্কার আর কে এস ভাদুড়িয়ার]
প্রসঙ্গত, আয়ুষ মন্ত্রক কোভিড-১৯ চিকিৎসায় গরম জলে নুন ও হলুদ দিয়ে গার্গল করা, নাক পরিষ্কার রাখার জন্য জোয়ান ও ইউক্যালিপটাসের তেলের স্টিম নেওয়ার মতো নানা পরামর্শ দিয়েছে। বলা হয়েছে, দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর কথা। বলা হয়েছে বেশ কিছু গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাচিত সদস্যরা এই নিয়মাবলি তৈরি করেছেন। যা মেনে চললে করোনাকে রুখে দেওয়া সম্ভব। এবার সেই দাবির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল আইএমএ।