shono
Advertisement

অর্ধেক আকাশে স্বাধীনতা, সৌদিতে প্রথমবার ফুটবল স্টেডিয়ামে মহিলারা

বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, খেলা দেখে উত্তেজিত প্রমীলা ব্রিগেড। 
Posted: 03:35 PM Jan 13, 2018Updated: 10:05 AM Jan 13, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালো পোশাকে ইতিহাস ভাঙার শপথ। সৌদি আরব প্রথমবার ফুটবল স্টেডিয়ামে খেলা দেখলেন মহিলারা। নিছক খেলা দেখা নয়, চেঁচিয়ে স্লোগান তুলে মেয়েরাও বুঝিয়ে দিল তারা কম যায় না। খেলা শেষ হতে হতে রাত দশটা বেজে গেলেও তাদের উৎসাহ ছিল একইরকম।

Advertisement

[দশ ক্যাচের রেকর্ড নিয়েও দ্বিতীয় টেস্টে বাদ যেতে পারেন ঋদ্ধি!]

সবুজ ঘাসে ফুটবল নিয়ে দাপাচ্ছে ২২ জন যোদ্ধা। তাদের তাতাতে কম গেলেন না মুনীরা, সইফুন্নেসারা। অন্য দর্শকদের মতো মেজাজে দেখিয়ে নারী ব্রিগেড বুঝিয়ে দিল তারা ভিড় বাড়াতে আসেনি। এমনই একজন ফুটবলপ্রেমী মুনীরা-আল-ঘামদি। অষ্টাদশীর কথায়, ফুটবল মাঠে মহিলা দর্শকদের প্রবেশের সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে ভাল হত। যাকে দেরিতে হলেও মন্দের ভাল, আমাদের মতো অনেকেই মাঠে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন। সইফুন্নেসা রীতিমতো ফুটছেন। ওই ফুটবলপ্রেমীর এতদিন টিভিতে খেলা দেখতেন। আত্মীয়দের থেকে শুনতেন মাঠের উত্তেজনার কথা। এবার সেই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারে ওই তরুণী যেন সুখের স্বর্গে। মহিলাদের এই উৎসাহে ভরে গিয়েছিল স্টেডিয়াম। মোট দর্শকের মধ্যে ১৩ শতাংশ ছিলেন মহিলা।  শুরু হিসাবে এটা কম নয় বলে মনে করেন আয়োজকরা। তাদের ধারণা আর কয়েক বছরের মধ্যে ফুটবল মাঠে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বহু প্রতীক্ষিত ওই ম্যাচ জেড্ডার কিং আবদুল্লা স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাত আটটায় শুরু হয়। খেলা ছিল সৌদি প্রিমিয়ার লিগের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আল আহিল আর আল বাতিন ক্লাবের মধ্যে। ওই ম্যাচে আসল নজর ছিল দর্শক আসনের দিকে। কারণ এই প্রথম পুরুষ সঙ্গী ছাড়া মাঠে আসার অধিকার ছিল মহিলাদের জন্য। তবে মাঠে ঢোকার অনুমতি পেলেও এখনই পুরুষদের সঙ্গে খেলা দেখতে পারবেন না মহিলারা। তাদের জন্য স্টেডিয়ামে আলাদা ব্লকের ব্যবস্থা ছিল।

[দশ ক্যাচের রেকর্ড নিয়েও দ্বিতীয় টেস্টে বাদ যেতে পারেন ঋদ্ধি!]

সৌদির অর্ধেক আকাশ যে একটু একটু করে মুক্তির স্বাদ পাচ্ছে তা গত কয়েক বছরে পরিষ্কার করছিল। এর নেপথ্যে সৌদি আরবের রাজা প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন। তাঁর ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের জন্য ধীরে ধীরে মুক্তির স্বাদ পাচ্ছেন মেয়েরাও। রক্ষণশীলতার গিঁট আলগা হচ্ছে। কয়েক মাসে আগে ওই দেশে মহিলারা স্টিয়ারিংয়ে হাত দিয়েছিল। এরপর রিয়াধে সৌদির জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে পুরুষদের পাশাপাশি আনন্দ ভাগ করে নিয়েছিলেন মেয়েরাও। এর পর থেকে মহিলাদের স্বাধীনতার জায়গাগুলি বাড়তে থাকে। অনেক দিন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সৌদির মহিলারা। তবে এখনই তাঁরা থামছেন না। তাঁদের যে অনেক দূর যেতে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার