সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহননের (Suicide) পথ বেছে নিলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক গৃহবধূ। তাঁকে বাধা না দিয়ে তাঁর আত্মহত্যার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করল শ্বশুরবাড়ির লোক! উদ্দেশ্য, নিজেদের নিরপরাধ প্রমাণ করা। তবে এমনটা করেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার সন্ধ্যায় মুজফ্ফরনগরের (Muzaffarnagar) দাতিয়ানা গ্রামে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। কমল নামের ওই গৃহবধূর বাড়ির লোক থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে পুলিশ তাঁর শাশুড়ি ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কমলের স্বামী ও দেওর পলাতক হলেও শেষ পর্যন্ত তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কী দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওয়? ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (Viral video) দেখা যাচ্ছে, কমল নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে নীল ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগাচ্ছেন। তা দেখে তাঁর শ্বশুরের মন্তব্য, ”ও কিন্তু নিজেই নিজের গলায় ফাঁস লাগাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মমতার পর এবার কমিশনের কোপে রাহুল সিনহা, ৪৮ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা]
তার কথাবার্তা থেকে স্পষ্ট, বউমার মৃত্যু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেও কোনও ভাবেই তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি কেউ। কেবল ভিডিও তুলে রেখেছিল আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য। যদিও ধরা পড়ার পরে অভিযুক্তদের দাবি, তারা প্রথমে ওই তরুণীকে আত্মহত্যা থেকে বিরত করার চেষ্টা করেছিল।
কমলের বাবা অনিল কুমারের অভিযোগ, ৫ লক্ষ টাকা নগদ ও বাইক পণ হিসেবে দেওয়া হলেও কমলের শ্বশুর দেবেন্দ্র, শাশুড়ি সবিতা ও দেওর শচীন মোটেই খুশি ছিল না নববধূর উপরে। ২০১৯ সালে বিয়ে হয়েছিল আশিস ও কমলের। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় অত্যাচার। এমনকী, একবার তাঁকে বাড়ি থেকেও বের করে দেওয়া হয়। পরে গ্রামের বয়স্ক মানুষদের অনুরোধে তাঁকে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে শুরু হয় আরও ১.২ লক্ষ টাকা পণ হিসেবে চাওয়া। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ক্রমেই অত্যাচার বাড়তে থাকে। অবশেষে চরম পথ বেছে নেয় কমল। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।